অতিভোজন (১)

অতিভোজন (১) সাদাকা ইবনে আব্দুল্লাহ মাযনী

নসীহত সংস্কৃতি

অতিভোজন (১) সাদাকা ইবনে আব্দুল্লাহ মাযনী

সাদাকা ইবনে আব্দুল্লাহ মাযনী বলেন- আমার বিবাহের পর আমার পিতা ওলীমার ব্যবস্থা করলেন। আমারা উটের গোশত দ্বারা ১০ (দশ) গামলা সারীদ (সুস্বাদু খাবার বিশেষ, গোশত ও রুটির টুকরা ছিঁড়ে ঝোল রান্নাকৃত খাবার, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম রাযি. এ খাদ্য বেশ পছন্দ করতেন।) রান্না করলাম। সর্বপ্রথম উমাইয়া শাসনামলের জনৈক কবি হেলাল ইবনে আসআদ মাযনী আমাদের নিকট উপস্থিত হলেন। আমি তার সম্মুখে এক গামলা সারীদ রেখে দিলাম। তিনি তা সম্পূর্ণ খেয়ে ফেললেন। এরপর আরেক গামলা পেশ করলাম, এটাও তিনি খেয়ে ফেললেন। এভাবে তিনি একাই পর্যায়ক্রমে ১০ (দশ) গামলা সারীদ খেয়ে সাবার করে দিলেন। অতঃপর তিনি পানি পান করতে চাইলেন, তাঁর সম্মুখে এক মশক (পানি রাখার চামড়ার পাত্র বিশেষ) নবীয রাখা হলো। তিনি মশকের এক পার্শ্ব স্বীয় মুখে ভরে সম্পূর্ণ নবীয উদরস্থ করলেন। অবশেষে আমরা নতুন করে খাবার রান্না করলাম।আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে অতিরিক্ত খাবার দাবার আহার করা থেকে বিরত রাখুন। সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠন করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসরন অনুকরন করার তাওফীক দান করুন। আমীন।।

অতিভোজন (১)

অতিভোজন (৩) ইবনে আবু যুবাইর

গৌরবময় ব্যক্তিত্ব । মাওলানা তাকী উসমানী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *