অতীতকে ভুলা যায় না এবং বাস্তবকে অস্বীকার করা যায় না

ইতিহাস ও জীবনী

অতীতকে ভুলা যায় না এবং বাস্তবকে অস্বীকার করা যায় না

ইসলামী শিক্ষার এ ধারাবাহিকতা উপরে গিয়ে শেষ হয় মসজিদে নববীতে। নবীজির হাতেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল মসজিদে নববীর সেই মাদরাসা। কিন্তু বেসরকারী মাদরাসা তথা কওমী মাদরাসাগুলোর সূচনা হয় বনু উমাইয়ার যুগ থেকে। যদিও ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহ. এর হাতে আরম্ভ হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ইন্তিকালের পর সরকারীভাবে এ মহৎ কাজের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় নি, বরং এ মহান কাজে আত্মবিসর্জনকারী বেসরকারী মানুষই ছিল। যাদের ঘামঝরা সাধনা ও প্রচেষ্টায় আজ পর্যন্ত রাসুল সা. এর হাদীসসমূহের একটি বিরাট ভাষার আমাদের মাঝে সংরক্ষিত আছে।

ইতিহাস সাক্ষ্য যে, ইমাম শাফী রহ., ইমাম মালেক রহ., ইমাম বুখারী রহ. অন্যান্য মুহাদ্দিস ও ইমামগণের হাদীসের পাঠদানে লক্ষ ল ইলমপিপাসু ছাত্র ভিড় জমাতেন এবং যুগের রাষ্ট্রনায়কগণও তাদের শিক্ষার আসরে উপস্থিত থাকাকে গৌরব মনে করতেন। বনু উমাইয়া, বনু আব্বাসিয়া বনু উসমানিয়া শাসনামলে থেকে শুরু করে শাহ গুলীউল্লাহ রহ, পর্যন্ত তারপর দেওবন্দ, মাযাহিরুল উলুম, নদওয়াতুল উলামা এবং উপমহাদেশের অসংখ্য কওমী মাদরাসার যে সুদূরপ্রসারী ইতিহাস রয়েছে, তা যদি একাগ্রতার সাথে অধ্যয়ন করা হয়, তাহলে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, বাস্তবিকই ইসলামের রক্ষক, দীন ও ঈমানের বহুল সম্প্রসারণের দায়িত্বশীল এবং ইলমে অহীর খাটি সেবক একমাত্র এই কওমী মাদরাসাই । এ সমস্ত মাদরাসাসমূহ ইলম, হিকত, দীন ও আমানতের ইস্পাত কঠিন প্রাচীর পরিবেষ্টিত দুর্গ এই মাদরাসাগুলোর শিক্ষাবর্ষ সমাপ্তকারী সার্থক তালেবে ইলমরাই সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি প্রতিরোধ করেছে।

আজ ১৪০০ হিজরী গত হওয়ার পরও ইসলাম তার বাস্তবরূপে, দীন তার সঠিক অর্থে এবং ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস তার আসল ব্যাখ্যাসহই যে পৃথিবীর বুকে আমরা দেখতে পাচ্ছি এবং ইসলামের পতাকা আজও দুনিয়ার বুকে পতপত করে উড়ছে, দীনের মশাল যে আজও উ ইসলাম-আকাঈদ ও আমলের তরী পূর্বানুরূপ আমাদের সামনে ভাসছে, তা একমাত্র কওমী মাদরাসার অবদান বরং আরও জোর দিয়েই বলা যায়, যতদিন এ সমস্ত মাদরাসা টিকে থাকবে ততদিন ইসলাম ও দীন প্রকৃত আকৃতিতে টিকে থাকবে।

আর আল্লাহ না করুন, যেদিন কওমী মাদরাসাগুলো পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, সেটি অতি দ্রুতলয়ে এমন একটি পশ্চিমা ধাঁচের ও আধুনিক ইসলামের অভূদ্যয় ঘটবে, যে ইসলামের সাথে না থাকবে নবীজির সম্পর্ক, না সাহাবায়ে কিরামের, না খুলাফায়ে রাশেদীনের আর না কুরআন ও হাদীসের অর্থাৎ মদীনার ইসলাম ধ্বংস হওয়ার জন্য কওমী মাদরাসা ধ্বংস হওয়াই যথেষ্ট। অনেকেই আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন, কিন্তু এটা এমন বাস্তব সত্য যে, আযানের মিনারায়, মসজিদের মিম্বারে এবং রেডিও, টেলিভিশন হতে আরম্ভ করে সমস্ত প্রচার মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে এ কথার ঘোষণা দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। মোটকথা, ইসলামের হেফাজত, দীনের প্রচার-প্রসার, আকীদা-বিশ্বাসে দৃঢ়তার জন্য কওমী মাদরাসার এমনি প্রয়োজন, যেমনিভাবে মানুষের জন্য আলো-বাতাস ও পানির প্রয়োজন। এ বাস্তব সত্যকে অবিশ্বাস করার কোনো উপায় নেই ।

চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চি‌ঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

আল্লাহর আইন শাশ্বত ও চিরন্তন

মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *