আট নং সবক
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ-
(৬) وَلَاۤ اِلٰهَ غَيْرُكَ এবং আপনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। (৭) اَعُوْذُ আমি আশ্রয় চাই। (৮) بِاللهِ আল্লাহ তা‘আলার কাছে।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ-
(৬) তাকবীরে তাহরিমার সময় হাতের আঙুলগুলো সোজা ও স্বাভাবিক অবস্থায় রাখবে, একেবারে ছড়িয়েও নয় আবার সম্পূর্ণ মিলিয়েও নয়। (৭) হাত বাঁধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রাখা। (৮) ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে বাম হাতের কব্জি পেঁচিয়ে ধরা (পুরুষের জন্য)।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন।
(৬) কারো গীবত করা, অথার্ৎ কারো অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো দোষচচার্ করা যা শুনলে সে ভীষণ কষ্ট পাবে। (৭) অকারণে কাউকে গালমন্দ করা। (৮) চোগলখুরী করা, অথার্ৎ একদিকের কথা আরেক দিকে লাগিয়ে মুসলমানদের পরস্পরে ঝগড়া—বিবাদ বাধিয়ে দেয়া।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়-
(৬) দেহ ও মনে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়, মনের দুর্বলতা এই যে, নেক কাজের হিম্মত কমতে কমতে এক সময় নেক কাজ করার ক্ষমতাই নি:শেষ হয়ে যায়। আর দেহ যেহেতু মনের অধীনে, তাই দুর্বল হয়ে পড়ে দেহও। এটাই মূল কারণ যে, বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপায় উপকরণের ক্ষেত্রে কাফেররা তুলনামূলক সুস্থ্য ও শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের রাযি. মোকাবেলায় টিকতে পারতো না। (৭) গুনাহগার ব্যক্তি নেক কাজের তাওফিক হতে বঞ্চিত হয়। আজ একটি নেক কাজ ছুটে গেল, কাল আরও একটি, পরশু ছুটে গেল আরও একটি। এভাবে পর্যায়ক্রমে গুনাহের কারণে সমস্ত নেক কাজ হতে মাহরূম ও বঞ্চিত হয়ে যায়। (৮) দায়িত্বে অবহেলাকারী জান্নাতের সুগন্ধীও পাবেনা যেমন হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. হতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের মধ্যে যাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে তা সেভাবে পালন করেনি যেভাবে সে নিজের ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালন করে থাকে, সে জান্নাতের সুগন্ধীও পাবে না।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়-
(৬) আল্লাহ তা‘আলা মুমিন নেক বান্দাদের থেকে যাবতীয় বালা—মুসীবত ও অনিষ্টতা দূর করে দেন এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার ক্ষতি পূরণে উত্তম প্রতিদান দেন। (৭) নেক কাজে সম্পদ ব্যয় করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, দূর হয় বালা—মুসীবত এবং নেককার ব্যক্তির বংশধরদের মাঝেও পৌঁছে যায় এর বরকত। (৮) অন্তরে প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি লাভ হয়, ফলে সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়ে এমন শান্তি অর্জিত হয়, যার বিপরীতে গোটা জগতের রাজত্ব ও সুখ—শান্তিও তুচ্ছ মনে হয়।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক