আল্লাহওয়ালা বুযূর্গানে দ্বীনের সোহবত
ইলম ও আখলাক বা জ্ঞান ও উন্নত চরিত্র লাভের সর্বোত্তম পন্থা হলো নেক সোহবত। আহলুল্লাহ ও বুযূর্গানে দ্বীনের খেদমতে অবস্থান করে তাদের যবানী নসীহত শ্রবণ করলে হৃদয়ের অন্তস্থলে প্রবেশ করে। তাদের সোহবতের বরকতে স্বভাব—চরিত্র, আমল—আখলাক সুন্দর হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মুমিনের অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত দ্বীনের উপর পূর্ণ আমলকারী হওয়া সম্ভব নয়। তাকওয়ার সারনির্যাস দু‘শব্দে এভাবে বলা যায় যে, আল্লাহর মুহাব্বত ও ভয়ের কারণে তার নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকা। এ দৌলত হাসিল করতে হবে বুযূর্গানে দ্বীনের সোহবত ও মুহাব্বত থেকে।
শ্রোতাদের অবস্থাভেদে সহজভাবে দ্বীনী বিষয় বুঝাতে হয়
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
وَمَنْ کَانَ فِیْ هٰذِهٖۤ اَعْمٰی فَهُوَ فِی الْاٰخِرَۃِ اَعْمٰی وَاَضَلُّ سَبِیْلًا.
অর্থ : “এই দুনিয়াতে যারা অন্ধ থাকবে আখেরাতেও তারা অন্ধ থাকবে।” -সুরা বনী ইসরাইল : ৭২
মুসলমানদের দ্বীনী হালত সাধারণত তিন প্রকার
১. শুধু নামকা ওয়াস্তে মুসলমান। ইসলামের ইলম ও আমলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নাই।
২. নামায, রোযার পাবন্দী আছে, দ্বীনের অন্যান্য সকল বিষয়ে তথা মু‘আমালাত, মু‘আশারাত ও আখলাকিয়্যাত এ সমস্ত শাখার কোনো ইলম ও আমল নাই; অথচ নিজেকে পরিপূর্ণ দ্বীনদার মনে করে আছে।
৩. নগণ্য সংখ্যক আল্লাহর ফরমাবরদার বান্দা। যাদের জীবন তেমনই যেমনটি একজন মুসলমানের জীবন হওয়া উচিত। যারা দ্বীনের রংধারী মুসলমান। মহান আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি বিশ্বস্ততাপূর্ণ জীবন।
ওয়াজের বিষয় স্থান কাল পাত্র বিশেষের প্রতি লক্ষ্য রাখা। সেখানে দ্বীনী তাকাযা কি? তা পুরা করা। দ্বীনী দাঈ মুবাল্লিগগণের প্রতি অনুরোধ, ওয়াজের বিষয়বস্তু দ্বীনের সব শাখাই হবে। শুধু আকাইদ, ইবাদত না হওয়া চাই। মু‘আমালাত, মু‘আশারাত ও আখলাকের বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব দিতে হবে। দ্বীনের প্রতিটি বিষয়কে খুবই সহজভাবে উপস্থাপন করা। শ্রোতারা যেন সহজে বুঝতে পারে। যদি সাধারণ শ্রোতা হয় তাহলে তাদের মতো করে বুঝাতে হবে। যদি আলেম—উলামা হয় তাহলে আলোচ্য বিষয় হবে তাদের উপযোগী, যা তাদের খাছ মজলিসে আলোচনা করা। কোনোক্রমেই আলেম উলামাদের ত্রুটিবিচ্যুতির কথা সাধারণ লোকদের মজলিসে না বলা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক