আল্লাহ তা‘আলার নামের সম্মানে পুরস্কার
হযরত বিশর ইবনে হাফী রহ. যৌবনে পুলিশের একজন সাধারণ সদস্য ছিলেন। আখলাক—চরিত্র তেমন উন্নত ছিল না। একদিন বাড়ি থেকে কোথাও যাচ্ছিলেন। রাস্তায় চলার সময় একখানা কাগজের টুকরা পড়ে থাকতে দেখে তিনি তা হাতে নিয়ে দেখলেন যে, তাতে আল্লাহ তা‘আলার নাম লিখা আছে। তিনি কাগজখানা সযত্নে উঠিয়ে বাজার থেকে দামি কাপড়, আতর, খুশবু খরীদ করে ঘরে গিয়ে পাক—পবিত্র হয়ে ‘আল্লাহ’ লিখা কাগজের টুকরাখানা ওই দামী কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে আতর, খুশবু মেখে ঘরের মধ্যে উঁচু স্থানে মর্যাদার সাথে রেখে দিলেন। সেই রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখেন এক নূরানী চেহারা বিশিষ্ট এক বুযুর্গ তাকে লক্ষ্য করে বলছেন, তুমি দিনের বেলায় আল্লাহ তা‘আলার নাম লিখিত কাগজকে সম্মান ও আদব প্রদর্শন করেছো এর বদলা হিসেবে আল্লাহপাক তোমাকে সমস্ত জগৎবাসীর নিকট সম্মানিত করবেন। যার নিদর্শন হিসেবে ঐ যুগে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. হযরত বিশরে হাফী রহ. এর সোহবতে যেতেন। আল্লাহ তা‘আলার নামের সম্মান ও আদবের খাতিরে হযরত বিশরে হাফী রহ. কে আল্লাহপাক সেই যুগের শ্রেষ্ঠ বুযূর্গ ও সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন। কুরআনে কারীমের প্রতি অভক্তি ও বেআদবীর পরিণামে আল্লাহ তা‘আলার আযমত, মহব্বত অন্তর থেকে শূণ্য হয়ে যায়, সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলর হুকুম—আহকামের মর্যাদা ও গুরুত্ব হ্রাস পেতে থাকে। গুনাহের প্রতি ঘৃণাবোধ ও ভয়—ভীতি থাকে না। পরিণামে নির্বিঘ্নে গুনাহ করতে থাকে, ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে দুনিয়া ও আখেরাতে ধ্বংস ও বরবাদী নেমে আসে, মানুষের নিকটও কোনো ইজ্জত—সম্মান থাকে না।
পদমর্যাদার মাপকাঠি হলো পবিত্র কুরআন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক