আহকামে তাবলীগের অনুসরণে দাওয়াতী মেহনত করতে হবে
বর্তমানে মাশাআল্লাহ দ্বীনী প্রতিষ্ঠান, দ্বীনী মেহনতের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমাদের অবস্থার সংশোধন, দ্বীনী উন্নতি সে তুলনায় কতটুকুু হচ্ছে? উম্মতের প্রকৃত চিকিৎসক নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী কী রোগ সাব্যস্ত করেছেন এবং সেসব রোগের জন্য কী চিকিৎসা বাতলে দিয়েছেন? সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করা হচ্ছে? যা রোগ বৃদ্ধির কারণ অর্থাৎ, যে কারণে রোগ দেখা দিয়েছে তাই প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দ্বীন ও দ্বীনের আহকামকে উপেক্ষা করে নিজের মনগড়া চিন্তাধারার মাধ্যমে দ্বীনের উন্নতি কামনা করা হচ্ছে। নাহি আনিল মুনকার অর্থাৎ, অসৎ কাজে বাধা প্রদান যদি সঠিক মূলনীতির আলোকে হয়, তাহলে সেখানে ফিৎনা—ফাসাদের কোনো আশঙ্কা থাকে না। উসূলের খেলাফ করে ভুল পন্থায় কাজ করলেই তখন ফাসাদ দেখা দেয়। তাছাড়া এই নাহি আনিল মুনকার যদি বাস্তবেই মুশকিল কাজ হতো, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা কখনও আমাদেরকে এ ব্যাপারে হুকুম করতেন না।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাব্বীর আহমদ উসমানী রহ. বলেন, তিনটি হক যদি এক সঙ্গে পাওয়া যায়, তাহলে কখনো তা ফিৎনার কারণ হবে না।
১. হক কাজ ২. হক পদ্ধতি ৩. হক নিয়ত
মুসলিম জাতির অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার জন্য যেখানে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ দুটি বিষয় শর্ত করে দেয়া হয়েছে সে বিষয় দুটি সেখানে বর্তমানে চরমভাবে উপেক্ষিত।
মুহিউস সুন্নাহ হযরতওয়ালা হারদূঈ রহ. এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত শেরগুলো তুলে ধরেন-
تو نهيں هے اس جهاں ميں منه چھپانے كے لئے
تو هے دنيا بھر كے سوتو ں كو جگا نے كے لئے
وعدۂ غلبه هے مومن کیلے قرآن ميں
پھر جو تو غالب نهيں كچھ هے كسر ايمان ميں
“জন্ম তোমার এই ধরাতে মুখ লুকোবার জন্য নয়,
দাও জাগিয়ে তাদের যারা গভীর ঘুমে মগ্ন রয়।
মুমিন তরে বিজয় বার্তা পাক কুরআনের ঘোষণা
এরপরেও হারলে তুমি বুঝবে ঈমান কামেল না।”
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক