আহলে ইলমের সম্মান করা জরুরী!
আহলে ইলমের সম্মান করা জরুরী : বর্তমান দুনিয়ায় একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নেতাকে ঝুঁকে সালাম করা হয়। তাদেরকে তো খুব সম্মান প্রদর্শন করা হয় অথচ প্রকৃত মর্যাদার হকদার কুরআন-হাদীসে যাঁদের মর্যাদার কথা উল্লেখ আছে তাঁরা হলেন আহলে ইলম, উলামা, তালিবে ইলম। তাঁদের সাথে সম্মান ও মহব্বতের আচরণ করা নেহায়েত জরুরী এবং সৌভাগ্যের কারণ। যুগশ্রেষ্ট আলেম হযরত মাওলানা মুফতী রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী রহ: বলতেন, যারা আহলে ইলমকে অসম্মান করে, অযথা খারাপ বলে, মৃত্যুর পর যখন কবরে রাখা হবে তখন তাদের চেহারা কিবলা থেকে ফিরে যাবে। কুতবুল আলম হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহ: এর কাছে তাঁর জনৈক মুরিদ দাওয়াতী কাজের কর্মী হযরতজী রহ: এর কাছে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন যে, ‘‘এখানে স্থানীয় আলেমগণ আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন না।’’ এর জবাবে হযরতজী রহ: তাকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারী করে লিখেছেন যে, খবরদার! ভবিষ্যতে আর কখনো আহলে ইলমদের সম্পর্কে আমার নিকট কোনো অভিযোগ লিখবে না। কেননা এতে ঈমানহারা হয়ে মৃত্যুর আশংকা আছে।’’
হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ: ইরশাদ করেন, বর্তমানে শুধু ঐ আহলে ইলমরই সম্মান করা হয় যাঁর খ্যাতি প্রসিদ্ধি আছে অথচ প্রত্যেক আলেমের সম্মান করা উচিত। আলেমগণেরও উচিত অন্য আলেমকে সম্মান করা।
বেআদবীর কারণে ইলম থেকে বঞ্চিত হতে হয়!
দ্বীনি ইলম অর্জনের রাস্তা অত্যন্ত সূক্ষ ও স্পর্শ কাতর। অধ্যবসায় ও আদবের মাধ্যমে হাসিল করতে হয়। কাজেই উস্তাদ এবং কিতাবের আদব রক্ষা করা জরুরী। হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহ. বলতেন, আমি উস্তাদকে বাদশাহর মত ভয় পাই। এজন্য অনেক তালেবে ইলমদের দেখা যায় যে, উস্তাদের সাথে আদবের মুআমালা না থাকার কারণে মেশকাত-জালালাইনের মতো উপরের জামাত পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না বা হিফজ খানার অনেক ছাত্র মাঝখানে আটকে যায়, সামনে এগুতে পারে না। এজন্য ছাত্রদের উচিত উস্তাদগণকে অধিক সম্মান ও ভক্তি করা, কিতাব ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণাদির আদব রক্ষা করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে আহলে ইলমের সম্মান করার এবং তাদের হক আদায় করার তাওফীক দান করুন। আমীন
কুরআনুল কারিমের কথা প্রবন্ধটি পড়তে ক্লিক করুন
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ