ইখলাস বা পরিশুদ্ধ নিয়ত
আদব নং—১
তিলাওয়াতকারী প্রথমেই নিজের নিয়ত বা অন্তরের বাসনাকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পরিশুদ্ধ করে নেবে। প্রকৃতপক্ষে সকল ইবাদতের এটাই বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
وَمَا اُمِرُوْا اِلَّا لِيَعْبُدُوْا اللهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ حُنَفَاءَ
‘অথচ তাদের (পূর্ববর্তী কিতাবাদিতে) প্রতি কেবল এ নির্দেশনাই ছিলো যে, তারা যেন খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র আল্লাহ পাকেরই ইবাদত করে।’ -সূরা বাইয়্যিনাহ
বুখারী মুসলিম শরীফের প্রসিদ্ধ হাদীস-
اِنَّمَا الْاَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَاِنّمَا لِكُلِّ امْرِئِ مَّا نَوٰى
‘প্রত্যেক আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফলাফল পাবে।’
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন-
اِنَّمَا يُعْطٰى الرَّجُلُ عَلٰى قَدْرِ نِيَّتِه
‘মানুষকে তার নিয়তের সমপরিমাণই প্রদান করা হয়।’
এজন্য তিলাওয়াতের সময় অন্তরকে জাগতিক সকল মোহ থেকে একদম পরিষ্কার করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে তিলাওয়াত করবে। লৌকিক তেলাওয়াতের দ্বারা ফায়দা হাসিল হওয়ার বিপরীতে গোনাহ হবে। হাদীসে আছে, লোক দেখানো বা অন্য কোনো জাগতিক স্বার্থে কুরআন তিলাওয়াতকারীর জন্য শাস্তি অবধারিত। কিয়ামতের দিন তিন ধরণের মানুষের উপর আগুনের শাস্তি কঠোর করা হবে। তাদের একজন হলো, ঐ ক্বারী যে ইখলাছের সাথে কুরআন তিলাওয়াত করতো না।
পদমর্যাদার মাপকাঠি হলো পবিত্র কুরআন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক