ইহতিসাব (দ্বীনের প্রাণবস্তু)
ইহতিসাব অর্থ যে কোনো আমল, ইবাদত বা কাজ করার সময় আল্লাহ তা‘আলার ওয়াদাসমূহকে অন্তরে একীনের সঙ্গে চোখের সামনে উপস্থিত রাখা এবং ওয়াদাকৃত পুরস্কারসমূহ পাওয়ার আশা ও আকাংখা নিয়ে আমলে মশগুল হওয়া। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক আমল ও ইবাদতের সঙ্গে ঈমান—ইহতিসাবের বিষয়টি শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যেমন- এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيْمَانًا وَّاحْتِسَابًا غُفِرَ لَه ٗمَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه
অর্থ : “যে ঈমানের সঙ্গে (খাঁটিভাবে) সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের রোযা রাখবে তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।” -সহীহ বুখারী, ঈমান অধ্যায়, খণ্ড ১, হাদীস নং- ৩৭
যেহেতু দ্বীনের প্রাণবস্তু হলো ঈমান ও ইহতিসাব, কাজেই দ্বীনী কার্যক্রমের সকল ক্ষেত্রে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের দাবি রাখে। এই প্রাণবস্তু হাসিলের ক্ষেত্রে কুতুবুল আলম মুজাদ্দিদে দ্বীন হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহ.—এর কতিপয় মূল্যবান হেদায়াত প্রণিধানযোগ্য।
বস্তুত ঈমান ও ইহতিসাব নামক এ দুটি বিষয় সমস্ত আমলের রূহ বা আত্মাস্বরূপ। এর দ্বারাই আমলের মূল্যায়ন হয়। আমলের মধ্যে ওজনও এর দ্বারাই পয়দা হয় এবং এর সংশ্লিষ্টতায় মানুষ উন্নতির চরম শিখর আরশ পর্যন্ত পেঁৗছতে পারে। আর শুধু এতটুকু বিষয়ের অভাব ও শূন্যতার কারণে বড় বড় আমলও উপরে উঠার ক্ষমতা রাখে না। সাহাবায়ে কিরামের রাযি. জীবনী ও ইতিহাস পাঠ করলে একথা স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়, পরবর্তী উম্মতদের তুলনায় তাঁরা ঈমান ও ইহতিসাবের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগামী ছিলেন। এ দুটি বৈশিষ্ট্য তাঁদের আমলের ওজনকে অনেক গুণে বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বাহ্যিক আমল ও ইবাদত হয়তো পরবর্তীগণের কারো কারো ক্ষেত্রে অনেক বেশি হতে পারে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামÑএর মোবারক সোহবত ও সাহচর্যের বরকতে তাঁদের ইয়াকীন নেহায়েত গভীরতায় পৌঁছেছিল। ফলে ঈমান ও ইহতিসাব তাঁদের অন্তরঙ্গ ও মজ্জাগত বিষয়ে পরিণত হওয়ায় স্বভাবত তাঁদের আমল ও ইবাদতের ওজন অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই উলামায়ে কিরাম বলেছেন, অন্যদের উপর সাহাবা আজমাঈনগণের ফযীলত ও প্রাধান্য অধিক পরিমাণ আমল ও ইবাদতের জন্যে নয়; বরং অধিক সওয়াব ও মাকবূলিয়্যতের কারণে। যেমন- হযরত হাসান বসরী রহ. বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলার কসম! তাঁরা অধিক পরিমাণে নামায রোযা আদায় করতেন না। কিন্তু একটি বিষয় তাঁদের অন্তরে গেঁথে গিয়েছিল। নিঃসন্দেহে বলা যায়, সেটি ছিল ঈমান ও ইহতিসাব।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক