ঈদ বনাম খাঁটি ঈদ
হামদ ও সালাতের পর প্রিয় পাঠক বৃন্দ, ঈদ সামনে রেখে কলম হাতে নিলেই কেন জানি কলমের খোচায় ঈদ নিয়ে লেখতে মন ময়দানে স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়। তাকে দমাতে ব্যবহার করি ডিজিট্যাল যুগের আবিষ্কৃত ভারি ভারি অস্ত্র, অথচ বিজয় মুকুট ঈদ কলামের। অবশ্যই তার পিছনে রয়েছে যৌক্তিক সহযোগিতা আর সময়ের অকুন্ঠ সমর্থন। কারন ক্ষুর ধার লেখকেরা পাঠক মনোরঞ্জনে আজ খুবই ব্যস্ত।
সাহিত্যের কথা মালায় প্রশংসা কুড়ানোই যেন তাদের উদ্দেশ্য। অথচ সমাজ, জাতি, দেশ আজ কুসংস্কারের অতৈ গহবরে নিমজ্জিত, ধর্মের প্রতি উদাসিন আর যে যার মত পরিচালিত। মনগড়া শাসনে শাসিত। ধর্মের নামে অধর্মের আত্মঘাতী আক্রমনে আক্রান্ত। তাই সময়ের দাবি হলো আত্মধ্বংসের এই কুষ্ট ব্যাধি থেকে আক্রান্ত জাতিকে পরিত্রনের লক্ষ্যে লেখকের লিখনি ভেষজ সেবন করানো।
পাঠক মহল, আমরা মুসলমান। ধর্ম মোদের ইসলাম, কুরআন হাদীস হল আমাদের পথ-নির্দেশিকা। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন পথ প্রদর্শক। সূতরাং আমরা হলাম নির্দেশিত। অতএব আমাদের কর্ম পন্থা ও কর্ম সাধন এত্রয়ের নিকট বিধি বদ্ধ। আর এর বহির্ভূত কোন কার্য সম্পাদন হবে বিধি বিবর্জিত, অমার্জিত।
সুহৃদ বন্ধুগন : এই দীর্ঘ ভূমিকার নির্যাস হল ধর্ম পালন করব ধর্মের নীতিতে, নয়কো মনের খুশীতে, আর্থাৎ মনগড়া পদ্ধতিতে। যেমন নামায আদায় করি তার বিধিত বিধিনুসারে, নয়কো মন চাহিদার অনুসারে। তেমনি এক বিধিত বিধান অত্যাসন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যার উদযাপনী মুসলমান। অথচ তা উদযাপন করি আমরা বর্ণনার অযোগ্য পন্থা অবলম্বনে। যার নেপথ্যে রয়েছে ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান।
দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, ঈদ উদযাপনে আমরা এতটাই মাতোয়ারা আর দিশেহারা। এটি যে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান তা আমরা ভুলে যাই। আলট্রা মডার্ণ অর্ধালোঙ্গে,নানা রঙে রঙিণ হয়ে হিল জোড়া পা যুগলে মন কাড়া সৌরভ ছড়িয়ে প্রেমিকের হাতটা ধরে, কোন পার্ক বা উদ্যানে কিংবা ঈদ মেলার আয়োজনে অবাধে চলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়।
শহর বা গঞ্জে এমনকি অজপড়া গায়ে ঈদ লেভেলে চলে কত তেলেসমাতি। যা দেখে লজ্জায় মুখ ডাকাও দায়। ওদের তেলেসমাতি এতই অসঙ্গতি যা ভাষায় ব্যক্ত করতেও লজ্জায় মরি।সাথে সাথে প্রশ্নবাণে নিজেকে জর্জরিত করি যে, ওরা এসব কি করে? পরক্ষনই উত্তর পেয়ে গেলাম যে, ইসলামী ঈদের লেভেলে ওরা আরেকটি ঈদ পালন করে যা সম্পূর্ণ ইসলাম অনুমোদিত পন্থার বিপরীত।
তো যারা ঈদকে পালন করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবে ধর্র্র্মের রীতিনুসারে তাদের ঈদ হল খাঁটি ঈদ। আর যারা পালন করে পাশ্চাত্যের কৃষ্ণ তরীতে লালপাল উড়িয়ে, বেহায়া বেলেল্লাপনার আদলে, কুরুচি আর কুৎসিত পন্থানুস্বরণে তাদের ঈদ হল শব্দার্থের ঈদ। অন্য কথায় ভেজাল ডিজিটাল ঈদ। তাই শিরোনাম দিলাম ঈদ বনাম খাঁটি ঈদ।
অতএব আসুন আমরা খাঁটি ঈদ পালনে ব্রত হই।
কুরআনুল কারিমের কথা প্রবন্ধটি পড়তে ক্লিক করুন
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ