কুরআনের ওপর ঈমান আনার অর্থ কী
প্রশ্নঃ আমার কুরআনের ওপর ঈমান রয়েছে, তারপর কুরআনকে পূর্ণভাবে বা অংশ বিশেষ অস্বীকার করলে বা কুরআনের কোনো অংশকে অস্বীকার করলে ফতওয়া কী? এই অস্বীকৃতি যবানে হোক বা অন্য কোনো অঙ্গ দ্বারা হোক।
উত্তরঃ পুরোপুরি কুরআনে কারীমের তাসদীক জরুরী। যদি পুরো কুরআন বা এর অংশ বিশেষের ব্যাপারে এ আকীদা রাখা হয় যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ নয়, তাহলে এ দ্বারা ঈমান বাকি থাকবে না।
আর যদি আমলী ত্রুটি থাকে, তাহলে কুফরীর হুকুম দেয়া যাবে না। এতে ঈমান দুর্বল হয়ে যায় কিন্তু অন্তরের স্বীকারোক্তি থাকা অবস্থায় ঈমান নষ্ট হবে না। ঈমান বহাল থাকবে। -মাহমূদিয়া ২/২৯: শরহে ফিকহে আকবর ২০৫,১০৬
শুধু কালেমা পড়লে জান্নাতের সুসংবাদ
প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
ان الذين امنوا وعملوا الصالحات كانت لهم
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় একজন আলেম অধিকাংশ মুফাস্সিরীনের এ মত উল্লেখ করেছেন যে, শুধু ঈমানদার আমলে সালেহা তথা নামায, রোযা ইত্যাদি ছাড়া জান্নাতের সুসংবাদের উপযুক্ত। কেননা, কোনো বিষয়ের আতফ তার নিজের ওপর করা হয় না। এটা কী করে সম্ভব?
উত্তরঃ যদি কোনো ব্যক্তি ঈমান আনয়নের পর নেক আমলের সুযোগ না পায়, তাহলে সেও খোদায়ী কানুন মতে সহীহ ধর্মের অনুসারী হিসেবে এ সুসংবাদের অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর সুযোগ পেল কিন্তু সে আমলে সালেহা না করে গোনাহে লিপ্ত রইল সে প্রথম বারে জান্নাতে যেতে পারবে না বরং শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতের উপযুক্ত হবে।
উক্ত আলেমের দলীলের সারাংশ হলো, ঈমান ও আমালে সালেহা পৃথক পৃথক বিষয়। অতএব উভয়ের ওপর সুসংবাদ হবে, শুধু ঈমানের ওপর নয়। সুতরাং শুধু ঈমানদার হওয়ার ওপর সুসংবাদের উপযুক্ত হওয়ার ব্যাপারে এ দলীল পেশ করা সম্পূর্ণ অমূলক। -মাহমূদিয়া ২/৩১: মিরকাত ১/৯৪
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ