কুরআন তিলাওয়াতকারীর উপর রহমত বর্ষণ
(সওয়াব ছাড়াও কুরআন মাজীদের তিলাওয়াত আল্লাহ তা‘আলার রহমত লাভের একটি শ্রেষ্ঠতম উপায়।) যে ব্যক্তি মহাব্বতের সাথে কুরআন তিলাওয়াত করে, তার প্রতি আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ফলে কুরআন পাঠক তার অন্তরে এক রকম প্রশান্তি বোধ করে। যারা সূরা ইয়াসীন কিংবা কুরআন মাজীদের অন্য কোথাও থেকে নিয়মিত তিলাওয়াত করে অথবা যারা ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত কুরআন পড়ে, তাদের অভিজ্ঞতা সাক্ষ্য দেয় যে, এর মাধ্যমে তারা দিবারাত্র আল্লাহর এক বিশেষ রহমতের মধ্যে ডুবে থাকে। এই অনুভূতি যেদিন কোনো কারণে কুরআন পাঠ ছুটে যায়, সেদিন তীব্র হয়ে ধরা দেয়। সেদিনটি তাদের এক অনির্বচনীয় অভাববোধের সাথে কাটে। কেমন যেন এক নিরানন্দ ভাব তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। যারা কুরআনের অর্থ বোঝে না, তারাও এটা মনে—প্রাণে উপলব্ধি করে। তারাও সাক্ষ্য দেয় কুরআন তিলাওয়াতে প্রাণমন শান্তিতে ভরে যায়। এটা রহমত বর্ষণের ফল বৈকি! বিশিষ্টজনেরা তো এ রহমত চাক্ষুষও দেখতে পায়। এ প্রসঙ্গে হযরত উসাইদ ইবনে হুযাইর রাযি.—এর ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে।
কোনো এক রাতে হযরত উসাইদ রাযি. কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করছিলেন। তাঁর ঘোড়াটি রশি দ্বারা বাঁধা ছিল। এ অবস্থায় একখণ্ড মেঘ নিচের দিকে নেমে আসল এবং ক্রমেই তা নিচে নেমে আসছিল। তা দেখে ঘোড়াটি ছটফট করতে লাগল। অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি এ অবস্থা দেখে পড়া বন্ধ করলেন, তখন ঘোড়াটি শান্ত হয়ে গেল। পুনরায় যখন পড়া শুরু করলেন, ঘোড়াটি লাফালাফি শুরু করে দিল। এভাবেই চলতে থাকল। যখন তিনি পড়তে থাকেন, ঘোড়াটি নড়াচড়া করে আর যখন ক্ষান্ত হন, ঘোড়াটিও শান্ত হয়ে যায়। ভোরবেলা তিনি এ ঘটনা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালে তিনি বললেন, তা ছিল সাকীনা (রহমত), যা কুরআনে পাকের তিলাওয়াতের কারণে নাযিল হয়েছিল। —বুখারী, মুসলিম
পদমর্যাদার মাপকাঠি হলো পবিত্র কুরআন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক