ঘুরাফেরা করণার্থে মহিলাদের বাইরে যাওয়া
প্রশ্ন : আজকাল অনেকেই ধারণা করে থাকে যে, মহিলাদের সার্বক্ষণিক ঘরে রাখা জুলুম, তাদেরকে স্বামীর সাথে বোরকা গায়ে দিয়ে বাইরে ঘুরাফেরা করতে দেওয়া চাই।
যেমন নবীযুগে মহিলাগণ বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন এবং সকল কাজে সহযোগিতা করতেন। এখন প্রশ্ন হলো, এ সম্পর্কে আপনার মতামত কী? জানতে চাই।
উত্তর : যে সকল শর্ত ও পরিস্থিতির কারণে নবীযুগে মহিলাগণ জিহাদে শরিক হতেন, বর্তমান যুগে এর দশমাংশের দশমাংশও বিদ্যমান নেই।
এমনকি তা পাওয়াও অনেক দূরূহ হয়ে পড়েছে। তথাপি ফুকাহায়ে কেরাম যেসব কারণে মহিলাদের জিহাদে শরিক হওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন, তা যদি বর্তমান যুগেও দেখা দেয়, তাহলে মহিলাদের বাহির হওয়া জায়েয।
অর্থাৎ একান্ত অপারগতার সময় যখন ব্যাপকভাবে সকলেরই বের হওয়া জরুরী হয়ে পড়ে, তখন মহিলাদের জিহাদে বের হওয়ার অবকাশ আছে।
তবে শর্ত হলো যে, তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা থাকতে হবে ও সৈন্যদল বড় হতে হবে। পক্ষান্তরে, ব্যাণ্ডেজ ও ঔষধ সরবরাহ ইত্যাদি করণার্থে বৃদ্ধা মহিলাদের বের হওয়া জায়েয, যুবতিদের জায়েয নেই।
যেখানে জিহাদে বাহির হওয়ার বিধানই এমন, সেখানে স্বামীর সাথে ঘুরাফেরা করার বিধান কেমন হতে পারে; যা ইবাদত হিসাবে পরিগণিত নয়।
কাজেই, এটাকে জিহাদের সাথে তুলনা করা ঠিক নয়। বিশেষ করে যখন নিম্নের হাদীসের বর্ণনানুযায়ী পর্দা পালনে কঠোরতা পাওয়া যায়, তখন তো প্রশ্নই আসে না।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) উল্লিখিত বর্ণনা এমন যুগ সম্পর্কে ব্যক্ত করেছেন, যে যুগটিকে হাদীসে উত্তম যুগ বলে অবিহিত করা হয়েছে:
غَيْرُ الْقُرُون قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ
আজকাল ফেতনা-ফাসাদের ব্যাপক বিস্তারের কারণে মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করাকেও নিষেধ করা হয়েছে। যেমন: নেহায়া, কেফায়া, ইনায়া, মবসূত্ব, জামিউর রুমূয, মুহীত্ব প্রভৃতি কিতাবে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
দ্বীনি কাজে যখন তাদের বের হওয়ার বিধান এমন, তখন স্বামীর সাথে বাইরে ঘুরাফেরা করা, যাতে কোনো প্রকার দ্বীনি কল্যাণ নেই; বরং এটা নাসারাদের নিদর্শন, কালচার ও তাদের রীতি-নীতি, সেটা কিভাবে জায়েয হতে পারে?
- মাহমুদিয়া ২৮/৮৮: হিন্দিয়া ২/১৮৯-১৯০ মুহী: বুরহানী ১১০-১১১,২/৪৮৬ তিরমিযী ১/২২২,৪/৪৩৩ আবূ দাউদ ১/৮৪ বুখারী ১/১২০ কিফায়া আলাল ফাহি ১/৩১৮ ইনায়া-ফাহি ১/৩৬৬ মাবসূত ২/৪১ জামিউর রমূখ ১/৭৮।
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ
মুমিন ও মুসলমান হওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করা কি জরুরী ?