চারটি সোনালি আমল । তৃতীয় আমল : ইস্তেগফার
তৃতীয় আমল হলো ইস্তেগফার। এতেও জান, মাল ও সময় কিছুই ব্যয় হয় না। ছোট-বড় যখনই কোনো গুনাহ হয়ে যাবে, অনুতপ্ত হয়ে বলবে, আল্লাহ আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
শয়তানের চ্যালেঞ্জ
যখন হযরত আদম আ.-কে দুনিয়াতে পাঠানো হচ্ছিল, তাঁর দুনিয়াতে আসার পূর্বেই শয়তান এই চ্যালেঞ্জ করেছিল যে, হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দাদেরকে গোমরাহ করব এবং জাহান্নামে পাঠিয়ে ছাড়ব। কেননা তারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী, তাদের কারণে আমি উঁচু মাকাম থেকে অপসারিত হয়েছি।
হযরত আদম আ. আল্লাহর কাছে আরয করলেন, আপনি আমার দুশমন শয়তানকে এমন শক্তি দিয়েছেন যা আমার ও আমার সন্তানদের কাছে নেই। সে বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করতে পারে। এমনভাবে সে আসতে পারে যে, আমরা তাকে দেখি না, কিন্তু সে আমাদেরকে দেখে। সে জিন, আমরা মানুষ। তার ও আমাদের মধ্যে পার্থক্য তো প্রাকৃতিক ও সৃষ্টিগত । সে তো আমাদেরকে ধাক্কিয়ে জাহান্নামে নিয়ে যাবে!
আল্লাহর দেওয়া হাতিয়ার
আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে আদম! নিঃসন্দেহে তোমার কথা সঠিক। আমি তাকে অনেক শক্তি দিয়েছি। কিন্তু তার সকল শক্তির মুকাবিলা করার একটি হাতিয়ার আমি তোমাদেরকে দিচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা এই হাতিয়ার ব্যবহার করবে তার আক্রমণ কার্যকর হবে না। হাতিয়ারটি হলো ইস্তেগফার। অর্থাৎ যখনই কোনো গুনাহ হবে, দিল থেকে বলে ফেলা
ইস্তেগফার দ্বারা গুনাহ মাফ হয়
যারা ইস্তেগফার করে আল্লাহ তাদেরকে আযাব দেন না। যেমন কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে—
وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
অর্থ : আল্লাহ তা’আলা কাউকে শাস্তি দেন না, যখন তারা ইস্তেগফার করে। সূরা আনফাল, আয়াত ৩৩
আল্লাহ তা’আলা মানুষের অন্তরে গুনাহের জয়বাও রেখেছেন এবং গুনাহের মধ্যে নফসের স্বাদও রেখেছেন। গুনাহ থেকে বাঁচা সহজ নয় । মানুষ সহজেই গুনাহের প্রতি ধাবিত হয়ে যায়। এজন্য আল্লাহ তা’আলা নিজ অনুগ্রহে ক্ষমার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছেন। যদি গুনাহ হয়ে যায় তো অনুশোচনার সাথে খালেস দিলে তাওবা-ইস্তেগফার করে নেবে। তাতেই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ
অর্থ : তাওবাকারী ওই ব্যক্তির মত, যে কোনো গুনাহই করেনি! সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৪২৫০
গুনাহের ওপর প্রত্যেকবার তাওবা করবে
একবার গুনাহ হয়েছে, তাওবা করেছেন। আবার গুনাহ হয়েছে আবার তাওবা করুন। আল্লাহ তা’আলা আবার মাফ করে দেবেন। এমনকি একই গুনাহ যদি সত্তরবারও হয় এবং প্রত্যেকবারে তাওবা করা হয়, তাহলে প্রতিবারই আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। কেননা তাওবার দরজা খোলা। অতএব, হাজারবারও যদি তাওবা ভেঙ্গে যায়, আবার তাওবা করুন। সে রাহীম ও কারীম সত্তা হাজারবার ক্ষমা করবেন। জনৈক কবি এ সম্পর্কে সুন্দর বলেছেন,
جام مرا تو به شکن، تو به مری جام شکن سامنے ڈھیر ہیں ٹوٹے ہوئے پیمانوں کے
চারটি সোনালি আমল । প্রথম আমল : শোকর
চারটি সোনালি আমল : দ্বিতীয় আমল : সবর
চারটি সোনালি আমল : তৃতীয় আমল ইস্তেগফার
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক