ছয় নং সবক
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ-
(৪) وَتَبَارَكَ اسْمُكَ আপনার নাম বরকতময়। (৫) وَتَعَالىٰ جَدُّكَ আপনার শান ও মযার্দা অনেক উঁচু। (৬) وَلَاۤ اِلٰهَ غَيْرُكَ আপনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ-
(৪) তাকবীরে তাহরিমা বলার পূর্বে পুরুষদের উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো এবং মহিলাদের উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো সুন্নাত। অপারগতায় পুরুষরাও কাঁধ পর্যন্ত উঠালে কোনো অসুবিধা নেই। (৫) তাকবীরে তাহরিমার সময় হাতের তালু কেবলার দিকে রাখা। (৬) তাকবীরে তাহরিমার সময় হাতের আঙুলগুলো সোজা ও স্বাভাবিক অবস্থায় রাখবে, একেবারে ছড়িয়েও নয় আবার সম্পূর্ণ মিলিয়েও নয়।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন।
(৪) কারো প্রতি খারাপ ধারনা করা, অথার্ৎ শরীয়ত সম্মত কোনো দলীল—প্রমাণ ছাড়া কেবল মাত্র অবস্থা ও আলামতের উপর নির্ভর করে কাউকে মন্দ জানা। (৫) কারো দোষ—ত্রুটি তালাশ করা। (৬) কারো গীবত করা, অথার্ৎ কারো অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো দোষচচার্ করা যা শুনলে সে ভীষণ কষ্ট পাবে।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়-
(৪) গুনাহগার ব্যক্তি অধিকাংশ কাজে কঠিন বাঁধার সম্মুখীন হয়। (৫) গুনাহগার ব্যক্তির অন্তরে এক প্রকার অন্ধকারাচ্ছন্নতা সৃষ্টি হয়, যার অশুভ পরিণতি হলো, মানুষ বিদআত, গোমরাহি ও মূর্খতায় লিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে দ্বীনি অধ:পতনে নিমজ্জিত হয়ে দুনিয়া ও আখেরাত ধ্বংস হয়ে যায়। (৬) দেহ ও মনে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়, মনের দুর্বলতা এই যে, নেক কাজের হিম্মত কমতে কমতে এক সময় নেক কাজ করার ক্ষমতাই নি:শেষ হয়ে যায়। আর দেহ যেহেতু মনের অধীনে, তাই দুর্বল হয়ে পড়ে দেহও। এটাই মূল কারণ যে, বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপায় উপকরণের ক্ষেত্রে কাফেররা তুলনামূলক সুস্থ্য ও শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের রাযি. মোকাবেলায় টিকতে পারতো না।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়-
(৪) নেকীর বরকতে জীবন হয় মধুর ও সুখময়। বাস্তব জীবনে বিষয়টা এভাবে অনুভূত হয় যে, এমন আনন্দময় শান্তির জীবন কোনো রাজা—বাদশাহরও ভাগ্যে জোটেনা। (৫) প্রয়োজনের সময় বৃষ্টি বর্ষিত হয়, সম্পদ বৃদ্ধি পায়, সন্তান লাভ হয়, বাগবাগিচা ফুলে ফলে সমৃদ্ধ হয় এবং নদীনালা, খাল—বিলে পানি বৃদ্ধি পায়। (৬) আল্লাহ তা‘আলা মুমিন নেক বান্দাদের থেকে যাবতীয় বালা—মুসীবত ও অনিষ্টতা দূর করে দেন এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার ক্ষতি পূরণে উত্তম প্রতিদান দেন।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক