জাহান্নাম পর্ব ২
১১. হযরত ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামে কাফেরের জিহবা ১/২ ক্রস পর্যন্ত বের হয়ে হেঁচড়িয়ে চলবে এবং লোকেরা তা মাড়িয়ে চলবে। -আহমাদ
১২. হযরত আবু সাঈদ রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামীদের মুখের কাছে যায়তুন তেলের নিচের তপ্ত গাদ নিয়ে আসা হবে এবং সেটা উত্তাপে তার মুখের চামড়া-গোশত খসে পড়বে। -তিরমিজী
১৩. হযরত আবু সাঈদ রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামে সাউদ নামক পাহাড়ে কাফেরদের ৭০ বছরে তার উপর উঠানো হবে এবং নিক্ষেপ করা হবে। এ অবস্থায় সব সময় উঠানামা চলতে থাকবে। -তিরমিজী
১৪. হযরত আবু সাঈদ রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামীদের মাথার উপর ফুটন্ত গরম পানি ঢালা হবে তা তার পেটের মধ্যে প্রবেশ করে পেটের সব কিছু বিগলিত করে পায়ের দিক দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এর পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসলে পুনরায় তা আবার ঢালা হবে। -তিরমিজী
১৫. হযরত আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামীদেরকে তাদের রক্ত-পুুঁজ পান করানো হবে। এগুলো মুখের কাছে আনলে তারা তা অপছন্দ করবে- তাদের চেহারা দগ্ধ হয়ে মাথার চামড়া খসে পড়বে। এগুলো যখন বাধ্য হয়ে পান করবে, তখন নাড়িভুড়ি খ- খ- হয়ে মলদ্বার দিয়ে নির্গত হবে। -তিরমিজী
১৬. হযরত আবু সাঈদ রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নাম ৪টি প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। প্রত্যেক প্রাচীর ৪০ বছর দূরত্ব পরিমাণ পুরু বা মোটা। -তিরমিজী
১৭. হযরত আবু সাঈদ রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামীদের এক বালতি ভর্তি পুঁজ যদি দুনিয়াতে ফেলা হতো তাহলে গোটাদুনিয়াবাসীকে দুর্গন্ধময় করে দিত। তিরমিজী
১৮. হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, যদি জাক্কুম গাছের একটি ফোটা এই দুনিয়ায় পড়ে, তবে দুনিয়াবাসীর জীবন ধারনের উপকরণসমূহ নষ্ট হয়ে যাবে। সেই জাক্কুমই হবে জাহান্নামীদের খাবার। -তিরমিজী
১৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামীদের মুখ আগুনে তাপে ভাজাপোড়া হয়ে উপরের ঠোট সংকুচিত হয়ে মাথার মধ্যস্থলে এবং নিচের ঠোঁট ঝুলে নাভির সাথে এসে লাগবে। -তিরমিজী
২০. হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, জাহান্নামীদের চোখের পানি কাঁদতে কাঁদতে প্রবাহিত হবে। এক সময় অশ্রু শেষ হয়ে চোখ দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। ফলে চোখে এমন ক্ষতের সৃষ্টি হবে যে, যদি তাতে নৌকা চালাতে চাও তবে তাও চলবে। -শরহে সুন্নাহ
সুন্নাহসম্মত পন্থায় সুন্নাহ এর প্রতি আহবান
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন