নবীজির দশ বৎসরের মাদানী জীবন
যারা নেককার তাদের জীবন হয় বরকতময়। তারা অনেক নেক কাজ করেন অল্প সময়ে। উপকৃত হোন বেশীর থেকে বেশী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা মুনাওয়ারায় প্রায় দশ বৎসর অবস্থান করেন। কিন্তু মাত্র দশ বৎসরে তিনি এই পরিমাণ কাজ করেছেন অন্য কেউ হাজার বৎসরেও তার সমান করতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা অল্প সময়ে এত বেশী বরকত দান করেছেন, সকল কাজই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। এই সময় তিনি জিহাদ করেছেন।
কাফেলা পাঠিয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। দ্বীন ইসলামের তাবলীগ করেছেন। বর্ণনা করেছেন শরীয়তের হুকুম আহকামও। মেহনত করেছেন সাহাবায়ে কেরামের তালীম ও তারবিয়াতের শিক্ষা দিক্ষার ও আত্মা পরিশুদ্ধির। এত সকল বিষয় মাত্র দশ বৎসরে পরিচালনা করেছেন। এটাকেই বয়সের বরকত বলা হয়। বরকতের অর্থ এই নয় যে, বয়স বৃদ্ধি হয়ে দুই হাজার বৎসর হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদির বয়স ষাট সত্তরের মাঝামাঝি রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এব্যাপারে হাদীসও বলেছেন, যা ইমাম তিরমিযী, ইবনে মাজাহ রহ বর্ণনা করেছেন,
এরপর যদি কেউ হায়াত পায় বা জীবিত থাকে, তাহলে তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মুহলত বা অবকাশ মাত্র । কিন্তু সকলেরই দুনিয়া ছেড়ে যেতে হবে। যেখানে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম দুনিয়ায় জীবিত থাকেন নাই তাহলে কে দুনিয়ায় থাকবে?
পদমর্যাদার মাপকাঠি হলো পবিত্র কুরআন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক