নয় নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। হযরত মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার সাহেব রহ.
সম্পাদক : খাদেমুস সুন্নাহ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী (পীর সাহেব দেওনা)
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ-
(৭) اَعُوْذُ আমি আশ্রয় চাই। (৮) بِاللهِ আল্লাহ তা‘আলার কাছে। (৯) مِنَ الشَّيْطَانِ শয়তান থেকে।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ-
(৭) হাত বাঁধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রাখা। (৮) ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে বাম হাতের কব্জি পেঁচিয়ে ধরা (পুরুষের জন্য)। (৯) ডান হাতের মধ্যের তিন আঙুল বাম হাতের কব্জির উপর বিছিয়ে রাখা (পুরুষের জন্য)।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন।
(৭) অকারণে কাউকে গালমন্দ করা। (৮) চোগলখুরী করা, অথার্ৎ একদিকের কথা আরেক দিকে লাগিয়ে মুসলমানদের পরস্পরে ঝগড়া—বিবাদ বাধিয়ে দেয়া। (৯) তোহমত (মিথ্যা অপবাদ) দেয়া, অথার্ৎ কোনো ব্যক্তিকে এমন দোষে দোষারোপ করা যা আদৌ তার মধ্যে নেই।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়-
(৭) গুনাহগার ব্যক্তি নেক কাজের তাওফিক হতে বঞ্চিত হয়। আজ একটি নেক কাজ ছুটে গেল, কাল আরও একটি, পরশু ছুটে গেল আরও একটি। এভাবে পর্যায়ক্রমে গুনাহের কারণে সমস্ত নেক কাজ হতে মাহরূম ও বঞ্চিত হয়ে যায়। (৮) দায়িত্বে অবহেলাকারী জান্নাতের সুগন্ধীও পাবেনা যেমন হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. হতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের মধ্যে যাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে তা সেভাবে পালন করেনি যেভাবে সে নিজের ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালন করে থাকে, সে জান্নাতের সুগন্ধীও পাবে না। (৯) একটি গুনাহ আরেকটি গুনাহের কারণ হয়ে যায়, বিধায় গুনাহগার ব্যক্তি গুনাহে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে এবং গুনাহ ত্যাগ করা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়, দুর্বল হয়ে যায় তাওবা করার ইচ্ছা। এমনকি তাওবার তাওফিকও হয় না এবং ওই অবস্থায়—ই মৃত্যু এসে যায়। (নাউযুবিল্লাহ)
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়-
(৭) নেক কাজে সম্পদ ব্যয় করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, দূর হয় বালা—মুসীবত এবং নেককার ব্যক্তির বংশধরদের মাঝেও পৌঁছে যায় এর বরকত। (৮) অন্তরে প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি লাভ হয়, ফলে সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়ে এমন শান্তি অর্জিত হয়, যার বিপরীতে গোটা জগতের রাজত্ব ও সুখ—শান্তিও তুচ্ছ মনে হয়। (৯) জীবনে বহু গায়েবী সু—সংবাদ লাভ হয়। যেমন- কোনো একটি বরকতময় স্বপ্ন দেখার সৌভাগ্য লাভ করা। ফলশ্রম্নতিতে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মুহাব্বত, ভালবাসা ও ভরসা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে নেক আমলের স্পৃহাও বেড়ে যায়।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক