নামায ভঙ্গের কারণসমূহ
যে কারণে নামায ভঙ্গ হয়ে যায় এবং পূণরায় পড়তে হয়- ১. নামাযরত অবস্থায় ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মুখে কোন কথা বের হওয়া। ২. মানুষের কথার মতো করে কোন দু‘আ করা, যথা- “হে আল্লাহ! আমাকে খাবার দাও”। ৩. সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে কাউকে সালাম দেয়া। যদিও তা ভুল করেই হোক। ৪. মুখে উচ্চারণ করে কিংবা মুসাফাহা দ্বারা কারো সালামের উত্তর দেয়া। ৫. আমলে কাসীর করা, যেমন- দুই হাতে পাজামার ফিতা বাঁধা। ৬. কিবলার দিক হতে সীনা ঘুরে যাওয়া। ৭. বাইরের কোন বস্তু মুখের ভেতর নিয়ে ভক্ষন করা। যদিও তা সামন্যই হোক না কেন? ৮. চানা বুট সমপরিমাণ কোন বস্তু দাতের ফাঁকা জায়গা থেকে টেনে নিয়ে খেয়ে ফেলা। ৯. পান করা। ১০. বিন উজরে কাশি দেয়া। ১১. উহ্ উহ্ শব্দ করা। ১২. আহ্ আহ্ শব্দ করা। ১৩. ওহ্ ওহ্ শব্দ করা। ১৪. কোন বিপদে কিংবা ব্যাথার কারণে শব্দ করে কান্না করা। ১৫. হাঁচিদাতার “আলহামদুলিল্লাহ” এর উত্তরে “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলা। ১৬. “আল্লাহর সাথে কোন শরীক আছে কী?” কোন ব্যক্তির এমন প্রশ্নের উত্তরে “লা—ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলা। ১৭. কোন দুঃসংবাদ শুনে “ইন্না—লিল্লাহি ওয়া ইন্না—ইলাইহি রা—জিউন” পড়া। ১৮. সু—সংবাদ শুনে “আল—হামদুলিল্লাহ” বলা। ১৯. বিস্ময়কর সংবাদ শুনে “লা—ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অথবা “সুবহানাল্লাহ” বলা। ২০. কোন বিষয়ের প্রতি কারো দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে কুরআন শরীফের কোন আয়াত তিলাওয়াত করা, যেমন- “ইয়া ইয়াহইয়া খুজিল কিতাবা বি—কুওয়াহ”। ২১. তায়াম্মুমকারী ব্যক্তি পানির উপর সামর্থলাভ করা। ২২. মাসাহকৃত মোজা খুলে ফেলা। ২৩. মোজার উপর মাসাহ এর সময়সীমা পার হয়ে যাওয়া। ২৪. নামাযে কুরআন তিলাওয়াতে অক্ষম বা অসুদ্ধ তিলাওয়াতকারী ব্যক্তি নামাযরত অবস্থায় নামায সহীহ হয়ে যাওয়া পরিমাণ তিলাওয়াত শিখে যাওয়া। ২৫. বিবস্ত্র অবস্থায় নামায আদায়কারী সতর ঢাকতে সক্ষম পরিমাণ কাপড়ের উপর সামর্থ লাভ করা। ২৬. রুকু—সিজদাহ ইশারায় আদায়কারী ব্যক্তি রুকু—সিজদাহ আদায়ে সক্ষম হয়ে যাওয়া। ২৭. সাহেবে তারতীব তথা সারা জীবনে যার পাঁচ ওয়াক্তের কম নামায কাযা রয়েছে এমন ব্যক্তির নামাযের ভেতর ছুটে যাওয়া নামাযের কথা স্মরণে আসা এবং তা আদায়ের সময় থাকা। ২৮. যে ব্যক্তি ইমামতীর যোগ্য নয় তাকে ইমামের নামাযের খলীফা বানানো। ২৯. ফজরের নামায আদায়কালে সূর্য উদিত হওয়া। ৩০. দুই ঈদের নামায আদায়কালে সূর্য পশ্চিম আকাশের দিকে হেলে যাওয়া। ৩১. জুমআর নামায আদায়কালে আসরের ওয়াক্ত এসে যাওয়া। ৩২. জখম শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নামাযের মধ্যে ব্যান্ডেজ/পট্রি খুলে যাওয়া। ৩৩. মা‘যূর ব্যক্তির উজর শেষ হয়ে যাওয়া, যেমন- ধারাবাহিক পেশাবের ফোটা পড়ে এমন ব্যক্তির পেশাব বন্ধ হয়ে যাওয়া। ৩৪. ইচ্ছাকৃত ওযূ ভেঙ্গে দেয়া। ৩৫. অন্যের কোন কাজের দ্বারা ওযূ ভঙ্গ হয়ে যাওয়া, যেমন- বাঘ, সিংহ বা কোন হিং¯্র প্রাণীর আগমনের কারণে ওযূ ভেঙ্গে গেল। ৩৬. বেহুশ হয়ে যাওয়া। ৩৭. মজনূন বা পাগল হয়ে যাওয়া। ৩৮. কারো প্রতি দৃষ্টি পড়ার কারণে গোসল ওয়াজিব হয়ে যাওয়া। ৩৯. নামায ভঙ্গ হয়না এমন নিদ্রায় স্বপ্নদোষ হয়ে যাওয়া। ৪০. না—মাহরাম মহিলার বিন—পদার্য় কোন পুরুষের পাশে এসে নামাযে দাঁড়িয়ে যাওয়া, এমতাবস্থায় যে, পুরুষ ও মহিলা একই তাহরীমা ও একই নামাযে যুক্ত এবং পুরুষটি ঐ মহিলাটির ইমামতের ও নিয়্যত করেছে। ৪১. হদস লাহেক হয়েছে এমন ব্যক্তির সতর খুলে যাওয়া। যদিও তা খুলতে সে বাধ্য হয়। ৪২. নামাযে যার ওযূ ভেঙ্গে গেছে, সে ওযূ করতে যেতে বা ওযূ করে আসতে ক্বেরাত পড়া। ৪৩. নামাযে হদস লাহেক হয়েছে (ওযূ ভেঙ্গে গেছে) জেনেও ইচ্ছাকৃত এক রুকন পরিমাণ অবস্থান করা। ৪৪. হদস লাহেক হওয়ার পর নিকটে পানি থাকা সত্ত্বেও দূরে গিয়ে ওযূ করা। ৪৫. হদস লাহেক হওয়ার সন্দেহে মসজিদ হতে বেরিয়ে যাওয়া। ৪৬. মসজিদ ছাড়া বাইরে কোথাও নামাযরত অবস্থায় হদসের সন্দেহে কাতার হতে বেরিয়ে যাওয়া। ৪৭. এই মনে করে নামায ছেড়ে দেয়া যে, আমার ওযূ নেই, কিংবা আমার মোজার উপর মাসাহ এর সময়সীমা পার হয়ে গেছে, অথবা কাযা নামায রয়ে গেছে, কিংবা শরীরে বা কাপড়ে নাপাকী লেগে আছে ইত্যাদি, অথচ বাস্তবতা এর সম্পূর্ণ বিপরিত। যদিও সে মসজিদ হতে বের হয়নি। ৪৮. অন্য মুক্তাদীদের ইমামকে লোকমা দেয়া। ৪৯. এক নামায হতে অন্য নামাযে প্রত্যাবর্তনের তাকবীর বলা। ৫০. “আল্লাহু আকবার” হামযা টেনে পড়া। ৫১. যেই সূরা বা আয়াত মুখস্ত নেই তা নামাযে তিলাওয়াতের চেষ্টা করা। ৫২. সতর খোলা অবস্থায় এক রুকন আদায় করা, বা এক রুকন পরিমাণ সতর খোলা থাকা। ৫৩. নামাযের প্রতিবন্ধক কোন নাপাকী থাকা, চাই হাকীকী হোক, কিংবা হুকমী। ৫৪. কোন রুকরে মুক্তাদী ইমামের আগে বেড়ে যাওয়া, এমনভাবে যে, ইমাম তাতে শরীক না হয়। ৫৫. ইমামের সেজদায়ে সাহুতে মাসবূকের ইত্ত্বেবা‘ করা, যেমন- ইমামের উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব ছিল, কিন্তু তিনি ভূল বশত: সালাম ফিরিয়ে দিয়েছেন। এদিকে মাসবূক তার বাকী নামায পূর্ণ করছিল, হঠাৎ ইমামের সেজদায়ে সাহুর কথা মনে পড়ায় তিনি সেজদায় চলে গেলেন। আর তা দেখে ঐ মাসবূকও ইমামের ইত্ত্বেবা‘ করলো (তবে তার নামায ফাসেদ হয়ে যাবে)। ৫৬. শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পরিমাণ অবস্থানের পর মনে পড়লো যে, একটি সেজদাহ রয়ে গেছে। অত:পর সেজদাহ আদায় করে পূণরায় কা‘দায়ে আখীরাহ সমপরিমাণ না বসা। ৫৭. ঘুমন্ত অবস্থায় আদায়কৃত রুকন জাগ্রত অবস্থায় অবস্থায় পূণরায় আদায় না করা। ৫৮. তিন অথবা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাযের ২য় রাকাইতের পর নিজেকে মুসাফির ধারন করে সালাম ফিরিয়ে দেয়া। অথচ সে মুক্বীম। ৫৯. শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পরিমাণ বসার পর ইমাম খিল খিলিয়ে হাসলে মাসবূক ব্যক্তির নামায ফাসেদ হয়ে যাবে ইমামেম নামায ফাসেদ হবে না। অবশ্য ইমামের উপর ওয়াজিব যে, ওযূ করে পূণরায় নামায আদায় করবে। ৬০. কোন নব মুসলিমের তিন অথবা চার রাকআত বিশিষ্ট নামাযকে দুই রাকাআত ফরজ ধারণা করে সালাম ফিরিয়ে দেয়া। (“নূরুল ঈযাহ” হতে সংগৃহীত)
চারটি সোনালি আমল । প্রথম আমল : শোকর
চারটি সোনালি আমল : দ্বিতীয় আমল : সবর
চারটি সোনালি আমল : তৃতীয় আমল ইস্তেগফার
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক