না-মাহরাম কর্মচারীর সাথে পর্দা করার বিধান
প্রশ্ন : যায়েদ তার স্ত্রীর খুব অনুগত। স্ত্রীর সুবিধার্থে একজন না-মাহরাম ব্যক্তিকে কর্মচারী রেখেছে। সে ঘরের ঝাড়ু দেওয়া, খানা পাকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকে।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ঐ ছেলেকে বাচ্চা বলে। অথচ তার দাড়ি-মোচ গজানো আরম্ভ হয়েছে; সে বালেগের বয়সে পৌঁছে গেছে। যায়েদের স্ত্রী অনেক কষ্টের বিনিময়ে ঐ ছেলেকে ঘরের কাজ শিক্ষা দিয়েছে।
দুর্ভাগ্য যে, এখন সে যুবক হয়ে গেছে। কিন্তু তার কাজে-কর্মে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় তাকে ছাড়তে রাজি নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, স্বীয় আরামের চিন্তা করে এ রকম একজন যুবকের খেদমত নেওয়া বৈধ হবে কি?
উত্তর : না-মাহরামের সাথে পর্দা করা জরুরী। না-মাহরামকে কর্মচারী বা কাজের লোক হিসাবে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়, তবে অনেক সময় তার সাথে নির্জনতা অবলম্বনও করতে হয়, যা সরাসরি হারাম।
পুরুষ লোককে বিদায় করে কোনো মহিলা বা না-বালেগ ছেলেকে নিয়োগ করতে হবে। নতুবা ঐ যুবকের সাথে সম্পূর্ণ পর্দা বজায় রাখতে হবে। তার সামনে চেহারা খুলে বে-পর্দা অবস্থায় আসা-যাওয়া করা এবং তাকে বে-পর্দা অবস্থায় ঘরে ডেকে নিয়ে যাওয়া না-জায়েয। নিজের আরামের জন্য আল্লাহ তা’আলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ অমান্য করা মারাত্মক গোনাহ।
- মাহমূদিয়া ২৮/৯৪ : আহকামুল কুরআন ৩/৪৩৬ দুররে মুখতার ৬/৩৬৮ আল আশবাহু ওয়ান্ নাযায়ির ১৫৯ রওয়াইয়ূল বয়ান তাফসীরু আয়াতিল আহকাম ২/১৪৫, ২/১৬২ সূরা নিসা ১৪ ।
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ
মুমিন ও মুসলমান হওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করা কি জরুরী ?
ঘুরাফেরা করণার্থে মহিলাদের বাইরে যাওয়া
যে মহিলা বে-পর্দা চলতে অভ্যস্ত তার জন্যও পর্দা আবশ্যক
বিবাহের পর কনে তুলে নেওয়ার আগে পর্দা রক্ষা করা কি জরুরী?