পদমর্যাদার মাপকাঠি হলো পবিত্র কুরআন
কুরআনে কারীমকে আঁকড়ে ধরেই মুসলিমজাতি পৃথিবীর বুকে উন্নত ও মর্যাদাবান হয়েছিলো। হযরত আমের ইবনে ওয়াসিলাহ রাযি. বলেন, হযরত উমর রাযি. নাফে ইবনে আব্দুল হারেসকে মক্কা মুকার্রামার শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন, একবার হযরত উমর রাযি. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বন বিভাগের দায়িত্বভার কাকে দিয়েছ? তিনি আরয করলেন, ইবনে আবযাকে। হযরত উমর রাযি. জিজ্ঞাসা করলেন, ইবনে আবযা কে? তিনি আরয করলেন, সে আমার একজন গোলাম। হযরত উমর রাযি. অভিযোগের সুরে বললেন, গোলামকে কেন আমীর বানিয়েছ? তিনি আরয করলেন, সে কুরআন মাজিদ ভালো তিলাওয়াত করতে পারে।
তখন হযরত উমর (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করলেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা এ কালামে পাকের বদৌলতে বহুলোককে উচ্চ মযার্দা দান করেন এবং বহু লোককে অপদস্ত করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি. তার শাসনামলে একবার মুজাহিদদের একটি দল নিয়ে মক্কার কোনো এক পাহাড়ে উঠেছিলেন। প্রচণ্ড রোদ ছিল, তিনি হঠাৎ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সম্মুখে বিস্তৃত উপত্যকায় চোখ বুলাতে লাগলেন। গোটা সৈন্যদলও পিছনে দাঁড়িয়ে। ঘামে ভিজে যাচ্ছেন। কোথাও ছায়ার চিহ্নও নেই। প্রখর রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচার কোনো ব্যবস্থা নেই। সকলেই অস্থির।
আমীরুল মু‘মিনীনকে কেউ জিজ্ঞেস করল, আপনি ভাল আছেন তো! এখানে দাঁড়িয়ে আছেন যে? তিনি বললেন, আমি পাহাড়ের পাদদেশে দৃষ্টি বুলিয়ে যাচ্ছি। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে যেখানে আমি উট চরাতাম। ছোট বেলায় উট চরানোর কায়দা আমার জানা ছিল না। তাই আমার উটগুলো খালি পেটে সন্ধায় ঘরে ফিরত। আমার পিতা খাত্তাব আমাকে বকাবকি করতেন। বলতেন, উমর! তুমি জীবনে কী করবে? তুমি তো উটও চরাতে পার না। ঐ সময়ের কথা আমি স্মরণ করছি। যখন আমি উমরের উট চরানোর নিয়ম পর্যন্ত জানা ছিল না। আর আজ আমি দেখছি, ইসলাম এবং আল—কুরআনের বদৌলতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমি উমরকে আমীরুল মু‘মিনীন বানিয়ে দিয়েছেন।
এ জন্যই ইরশাদ হয়েছে-
اِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ اَقْوَامًا
‘আল্লাহ তা‘আলা এ কুরআনের বদৌলতে মানুষকে সম্মান—মর্যাদা দান করেন।’
আমরাও যদি এ কুরআন তিলাওয়াত করি এবং তদনুযায়ী আমল করি, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকেও পৃথিবীর বুকে সম্মান—মর্যাদা দান করবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক