পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের আদব
কুরআন তিলাওয়াত হচ্ছে সবোর্ত্তম ইবাদত ও আল্লাহর নৈকট্যশীল পূণ্যের কাজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
اَفْضَلُ الْعِبَادَةِ تِلَاوَةُ الْقُراٰنِ
‘সর্বোত্তম ইবাদত হচ্ছে কুরআন পাকের তিলাওয়াত।’
বর্ণিত আছে-
مَا اَذِنَ اللهُ تَعَالٰى لِعَبْدٍ فِىْ شَئْىٍ اَفْضَلُ مِنْ رَكَعَتَيْنِ اَوْ اَكْثَرَ مِنْ رَكَعَتَيْنِ وَاِنَّ الْبِرّ لِيَذِرَ فَوْقَ رَأْسِ الْعَبْدِ مَا دَامَ فِىْ صَلَاتِه وَمَا تَقَرَّبَ الْعَبْدُ اِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلّ بِمِثْلِ مَا خَرَجَ مِنْهُ اَىْ بَدَأَ مِنْهُ وَهُوَ الْقُرْاٰنُ الْكَرِيْمُ فَاِنَّهُ مِنْهُ بَدَأَ وَهُوَ لَفْظُ التِّرْمِذِىِّ وَقَالَ فِيْه حَسَنٌ غَرِيْبٌ
‘আল্লাহ তা‘আলা সর্বাপেক্ষা বেশী মনোনিবেশ ঐ বান্দার প্রতি দেন, যে দুই বা ততোধিক রাকাত নামাযে মগ্ন থাকে। বান্দা যতক্ষণ নামাযে দণ্ডায়মান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত তার মাথার উপর রহমত বর্ষিত হতে থাকে। আল্লাহর নৈকট্য অধিক পরিমাণে হাসিল হয় ঐ জিনিসের মাধ্যমে যা তার মুখ থেকে বের হয়েছে, অর্থাৎ তার থেকে সূচনা হয়েছে। তা হলো- কুরআনে কারীম।’
হাদীসে এসেছে-
مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِّنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ اَمْثَالِهَا
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের (কুরআন) একটি মাত্র হরফ তিলাওয়াত করবে তার জন্য দশটি নেকী রয়েছে।’
উল্লিখিত হাদীসত্রয় কুরআন তিলাওয়াত মহিমান্বিত ইবাদত ও নৈকট্যশীল কর্ম হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রমাণ। সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ এ আমল করার ক্ষেত্রে আদব জানা ও কর্মে পরিণত করা অত্যন্ত জরুরী। যাতে ইবাদতে পূর্ণতা হাসিল হওয়ার পাশাপাশি তিলাওয়াতকারী আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়। নতুবা, আদবের প্রতি খেয়াল না থাকার কারণে ইবাদত বা আনুগত্য গোনাহ বা অবাধ্যতায় রূপ নেবে। সওয়াব ও পুরস্কারের বিপরীতে মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টি পাওয়া যাবে। মাশায়েখে কেরামগণ অনেকগুলো আদব বর্ণনা করেছেন। এখানে আমরা সংক্ষেপে কিছু আদবের আলোচনার প্রয়াস নিচ্ছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আদবগুলোর পূর্ণ খেয়াল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
পদমর্যাদার মাপকাঠি হলো পবিত্র কুরআন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক