পর্দা সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন ও জবাব
প্রশ্ন : পর্দা কুরআনের কোন্ কোন্ আয়াত দ্বারা ফরয হয়েছে?
উত্তর : পর্দা ফরয হওয়ার বিভিন্ন আয়াত রয়েছে। নিয়ে কয়েকখানি তুলে ধরা হলো-
১. সূরা আহযাবের ৩৩নং আয়াতে আল্লাহ বলেন-
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الجاهلية الأولي
অর্থঃ আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং পূর্বের জাহেলিয়াত যুগের মতো নিজদিগকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।
২. সূরা নুরে আল্লাহ তা’আলা বলেন:
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي اخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوْ التَّابِعِينَ غَيْرِ أوْلِي الاِرْبَةَ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطَّفْلِ الَّذِيْنَ لَمْ يَظْهَرُوْا عَلَيْ عَوْرَاتِ النِّسَاء
অর্থ ঃ মুমিন নারীদেরকে বল, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের আবরণ প্রদর্শন না করে।
৩. সূরা আহযাবের ৩৯ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:
يَأَيُّهَا النَّبيُّ قُلْ لأزواجك وبنتكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ
অর্থ : ‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়।
উল্লিখিত আয়াতসমূহ দ্বারা পর্দা ফরয হয়েছে।
প্রশ্ন : আজকাল মহিলাদের বে-পর্দায় অফিস ও ফ্যাক্টরী ইত্যাদিতে চাকরি করা সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, এটাকে দূষণীয় মনে করা হয় না। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে দৃষ্টির হিফাযত কীভাবে করতে হবে এবং বাস ও রাস্তা-ঘাটে অনিচ্ছায় তাদের উপর দৃষ্টি পড়ে গেলে গোনাহ হবে কি?
উত্তর : পরপুরুষের সাথে মিশ্রণ ঘটে এমন স্থানে মহিলাদের চাকরি করা হারাম। আর এমন পরিস্থিতি যেহেতু আমাদের সমাজে সৃষ্টি হয়েছে, কাজেই, স্বীয় ঈমান রক্ষার্থে দৃষ্টির হিফাযত একান্ত প্রয়োজন। ইচ্ছা করে কোনো মহিলার দিকে দৃষ্টিপাত করা যাবে না। তবে যদি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি ফিরিয়ে আনবে।
- আপকে মাসায়েল ৮/৯৩: মিশকাত ২৬৮ সূরা আহযাব ৩৩,৩৯ সূরা নূর
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ