লেকচার

বক্তৃতার মূল উপাদান। মাওলানা আবু তাসনীম উমাইর

বক্তৃতার মূল উপাদান। মাওলানা আবু তাসনীম উামাইর

বক্তৃতার মূল উপাদান
বক্তৃতার মূল উপদান বলতে তিনটি বিষয়কে বুঝানো হয়। যে তিনটি বিষয়ের সমন্বয় ব্যতীত কোনো বক্তৃতাই বক্তৃতা হয় না। ১. তথ্য ও তত্ত্ব ২. ভাষা ৩. উপস্থাপন। তাই যে কোনো বক্তৃতা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে সর্বপ্রথম লক্ষ্য করতে হবে আমার বক্তব্যে তিনটি মৌলিক বিষয় আছে কি না।
তথ্যের প্রাচুর্য, ভাষার অলংকার, ও শিল্পিত উপস্থাপনে পাণ্ডিত্য যে বক্তৃতা শ্রোতার হৃদয়ে তা আলোড়ন সৃষ্টি করবেই। অধিকন্তু প্রতিযোগিতামূলক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বিচারকগণ গভীরভাবে এই তিনটি বিষয় লক্ষ্য করেন।

শ্রোতার মান অনুযায়ী বক্তৃতা করা
শব্দের ফুলঝুড়ি ভাষার লালিত্য আর উপস্থাপনার চানক্যে দর্শক শ্রোতার চোখ ও মন ধাঁধালেই চলবে না। নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে শ্রোতার হৃদয়ের নরম গতরে। এটাই বক্তৃতার স্বার্থকতা। পণ্ডিতরা বলেছেনÑ
كَلِّمُوْا النَاسِ بِقَدْرِ عُقُوْلِهِمِ
“মানুষের সাথে তাদের জ্ঞান অনুপাতে কথা বলো।” অর্থাৎ শ্রোতা যে মাপের তার সাথে কথা বলার ভাষাও শিল্প হতে হবে ঠিক সেই মাপের। যেন সহজে তারা কথা বুঝতে পারে। অন্যথায় লুঙ্গি খুলে পাগড়ী বাঁধার মতো অবস্থা হবে।
আমরা আহলে হক উলামায়ে কেরামকে দেখি খুব সহজ শব্দ ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলেন। বড় বড় এস্তেয়ারা ব্যবহার করেন না। জনগণ তাদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে ও আন্দোলিত হয়। জনগণের দিকে তাকিয়ে অন্তর দিয়ে শ্রোতার যোগ্যতা অনুযায়ী কথা বললে মানুষের অন্তরে সেই বক্তব্য প্রভাব সৃষ্টি করে। যত চিন্তা-ভাবনা করে কথা বলা হবে ততই বয়ানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
يَزِدُكَ وَجْهَهُ حَنَّا اِذَا مَا زِدْتَهُ نَظْرًا
যে পরিমাণ দেখবে, লেখাপড়া করবে তার সৌন্দর্যও তত বৃদ্ধি পাবে।

আমাদের সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।
সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube চ্যানেল Rahe Sunnat Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button