পীর-মুরীদীর হাকীকতও এই যে, পীর মুরীদকে যিকির ও আল্লাহর হুকুম বলে দেওয়ার ওয়াদা করে। আর মুরীদ একথার স্বীকারোক্তি করে যে, দ্বীনের ব্যাপারে পীর যা বলবে সে তা অবশ্যই পালন করবে। মুরীদ হওয়ার প্রচলিত পদ্ধতি ছাড়াও পীর তালীম দিতে এবং মুরীদ তার তালীম অনুপাতে আমল করতে পারে। তবে বিশেষ এ পদ্ধতিতে মুরীদ হওয়ার মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য ও লাভ রয়েছে যে, এতে করে সেই মুরীদের প্রতি পীরের তাওয়াজ্জুহ বা মনোযোগ অধিক হয়ে থাকে এবং মুরীদও পীরের কথা পালন করার ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব ও যতœ দিয়ে থাকে।
বলা হয় যে, একজনকেই পীর ধরবে এবং নিজের পীরকে সমকালীন যুগের সকল বুজুর্গ থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করবে, এর উপকারিতা শুধু এতোটুকুই যে, এমতাবস্থায় উভয়ের মাঝে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
মুরীদ হওয়ার প্রত্যাশী ব্যক্তি কাছে থাকলে পুরুষ হলে হাতের মধ্যে হাত দিয়ে বাইয়াত করা, আর স্ত্রীলোক হলে কাপড় ইত্যাদি ধরিয়ে বাইয়াত করা। এটি পীর ও মুরীদের মধ্যে সংঘটিত স্বীকারোক্তিকে দৃঢ় করার একটি ভালো পন্থা। তবে উভয়ের পক্ষ থেকে এই স্বীকারোক্তি এ পদ্ধতি ছাড়াও হতে পারে। এ কারণে যে ব্যক্তি দূর থেকে মুরীদ হতে চায়, তাকে হাতের মধ্যে হাত রাখা ছাড়াই মুরীদ করে নেওয়া হয়। অনেক হাদীস দ্বারাও জানা যায় যে, হাতের মধ্যে হাত দেওয়ার পদ্ধতিটি ভালো। সুতরাং হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে, হজরত রাসূলে মাকবূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাইয়াত করতেন, তখন সাহাবীদের হাত নিজের পবিত্র হাত দ্বারা ধরে বাইয়াত করতেন। আর কাপড় বা এ জাতীয় কিছু ধরানো হাত ধরানোর পরিবর্তেই করা হয়।
সংকলক : মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী