বড়দের তাসামুহ বিষয়ে আমাদের করনীয়
বাংলাদেশে এই একজন ব্যতিক্রমধর্মী পীর সাহেব যার নাম অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী (শাইখে দেওনা) যিনি আহলে হক, কোন মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেম নন অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঠিক সুন্নাতের ফেরিওয়ালা। কিভাবে উম্মতের মধ্যে সুন্নাত জিন্দা হয় সেই বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে যথেষ্ট ফিকির দান করেছেন, দেশের নামীদামী বাঘা বাঘা আলেমগনের শায়েখ ও পীর, হাকীমুল উম্মত শাহ আশরাফ আলী থানভী রহ. এর আখেরী চেরাগ হযরত মাওলানা আবরারুল হক হারদুঈ রাহিমাহুল্লাহ এর সোহবতের সামারা খেলাফত প্রাপ্ত খলিফা ।
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী একজন সুন্নাতের ফেরিওয়ালা। জেনারেল শিক্ষিত এ মানুষটির দ্বারা সুন্নাত জিন্দা করার যে বিরাট খিদমাহ এ জাতী পেয়েছে এবং পাচ্ছে, আমার মত শত বা হাজার আলেমও সে খিদমাহ জাতীকে দিতে ব্যর্থ। হেফাজতের কঠিন দুঃসময়ে তিনি যে হাল ধরেছিলেন, সেটাও যথেষ্ট প্রসংশনীয়। যা আমারা অনেকেই পারিনি।
কওমী মাদরাসা নিয়ে হযরত মারফত যে চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া হয়েছে, এটা সম্ভবত হযরতের একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা যা অদূর ভবিষ্যতে সত্যিকারার্থেই কাওমী অঙ্গনকে আগে বাড়ানোর জন্য গুরুত্বের সাথেই অতিবজরূরী বলেই প্রমানিত হবে তা তিনি অভিজ্ঞতার আলোকে আগেই চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
গবেষণার আলোকে তা ভুল না সঠিক সেটা আমাদের বড়রা বিবেচনা করবেন; বরং করছেন। এটাকে কেন্দ্র করে আমাদের কলম চালানো কি উচিৎ হচ্ছে?
তিনি তো সেই মানুষ, যিনি কারারুদ্ধ উলামাদের মুক্ত করতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস সরকারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আজও। বয়োজৈষ্ঠ এ মানুষটি কত কষ্ট না করছেন। তাঁর তুলনায় আমরা কি করতে পেরেছি ভেবেছি কখনও? এ সব আমরা মূহুর্তেই ভুলে যাই কি করে?
আমাদের কওমীর মুরুব্বীরা তো সবাই এখনও ইহধাম ত্যাগ করে চলে যাননি? তাঁরা যথেষ্ট সচেতন বলে আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। মুরুব্বীদের এভোওয়েড করে আমরা মুখ আছে বলে যা খুশি তাই বললাম, হাত আর কলমের জোর আছে বলে যা ইচ্ছে তাই লিখছি, তাতে আখের ক্ষতিটা কার হচ্ছে ভেবেছি কখনও? হায়, আফসোস, আমাদের হলো টা কি!
স্বরন রাখবো. বড়দের সমালোচনা করা সহজ, কিন্তু বড় হওয়া খুবই কঠিন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সচেতন হওয়ার সুযোগ করে দিন।
প্রিয় ভাই! শাইখুল ইসলাম শাহ্ আহমাদ শফী রহ. কে ভুল বুঝে যে ক্ষতিগ্রস্থ পুরা জাতী ও আমরা হয়েছি, তার পুনরাবৃত্তি যেন বারবার না হয়। সেদিকে সচেতনতা কাম্য। শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ. ভারতের কংগ্রেসের সাথে রাজনীতি করেছেন, এজন্য কি তিনি ইসলামকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন হিন্দুদের কাছে? এটা নিয়ে সমালোচনা কি আমাদের মত ছোটদের নৈতিকতা ও শিষ্টাচার বহির্ভূত নয়?
আমাদের মত ছোটরা আজ বিরাট বড় গবেষক হয়ে আবির্ভূত হচ্ছি। কিন্তু একবার কি ভেবেছি, দেওনা হযরত কি করেছেন জাতীর জন্য আর আমরা কি করেছি? ফেসবুকের পাতা আমাদের এখন বিরাট হাতিয়ার। যা খুশি লিখছি, যা খুশি বলছি।
আমার ব্যক্তিগত চেতনা এবং মতামত হলো, বড়দের তাসামুহসমূহ বড়রাই সমাধান করবেন। আমাদের মত ছোটদের আদব চুপ থাকা এবং আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করতে থাকা। একান্তই ক্ষতিকর কিছু মনে হলে বড়দের কাছে গিয়ে আদবের সাথে বিষয়টি খোলাসা করার অনুরোধ করা। আমাদের কলম যেন আক্বীদা বিশুদ্ধ কোনো শাইখের বিরুদ্ধে না যায়।
আমি দেওনার হযরতকে ভালোবাসি শুধু এজন্যই যে, তিনি সুন্নাতের একজন বড় খাদেম এবং আমার জানা মতে বাস্তবিকও তিনি একজন আদর্শবান সুন্নাতে নববীর ফেরিওয়ালা। ভালোবাসতেই থাকা আমার দায়িত্ব। তাই ভালো বাসাতেই থাকবো যতদিন তিনি সঠিক পথে আকাবেরীনদের তরজ ও তরিকায় থাকবেন। ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা হযরতকে সুদীর্ঘ নেক হায়াত দান করেন ও আমাদের শুভবুদ্ধি দান করেন এবং তাসামুহাত ক্ষমা করে দ্বীনের কাজে লেগে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন
এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত চেতনা। জাযাকুমুল্লাহ।
০৯/০৯/২০২২ রাত তিনটা পঁয়তাল্লিশ
সংগৃহীত
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক