মুহাররম ও আশুরা

মুহাররম ও আশুরা সহীহ হাদীসের আলোকে

আক্বীদা ও ফেকাহ

মুহাররম ও আশুরা সহীহ হাদীসের আলোকে

কুরআন মজীদে ও হাদীস শরীফে মুহাররম মাস সম্পর্কে যা এসেছে তা হল, এটা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ মাস। কুরআনের ভাষায় এটি ‘আরবাআতুন হুরুম’- অর্থাৎ চার সম্মানিত মাসের অন্যতম। মাস চারটি হলো- জিলক্বদ,জিলহজ, রজব ও মুহাররম

আর মুহাররম মাসে রোযা রাখার প্রতি হাদীস শরীফে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এক.
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

أفضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم

অর্থ : রমযানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা হল সর্বশ্রেষ্ঠ।’ -সহীহ মুসলিম ২/৩৬৮; জামে তিরমিযী ১/১৫৭

দুই.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন,

ما رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يتحرى صيام يوم فضله على غيره إلا هذا اليوم يوم عاشوراء وهذا الشهر يعني رمضان

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ -সহীহ বুখারী ১/২১৮

তিন.
হযরত আলী রাযি. কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলো, রমযানের পর আর কোনো মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোযা রাখার আদেশ করবেন?

তিনি বললেন, এই প্রশ্ন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জনৈক সাহাবী করেছিলেন, তখন আমি তাঁর খেদমতে উপসি’ত ছিলাম।

উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘রমযানের পর যদি তুমি রোযা রাখতে চাও, তবে মুহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস।

এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’-জামে তিরমিযী ১/১৫৭

চার.
অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

صيام يوم عاشوراء أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله

‘আমি আশা করি আশুরার রোযার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দিবেন।’ -সহীহ মুসলিম ১/৩৬৭; জামে তিরমিযী ১/১৫৮

পাঁচ.
আশুরার রোযা সম্পর্কে এক হাদীসে আছে যে,

صوموا عاشوراء وخالفوا فيه اليهود، صوموا قبله يوما أو بعده يوما

‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে; আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’ -মুসনাদে আহমদ ১/২৪১

ছয়.
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে ৯ তারিখেও অবশ্যই রোযা রাখব।’-সহীহ মুসলিম ১/৩৫৯

মুহাররম ও আশুরা এর করনীয় বর্জনীয় সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইটে।

https://usblog366.blogspot.com/

খাদেমুস সুন্নাহ শাইখে দেওনার নির্বাচিত ইসলাহী বয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *