হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নিজেদের ঘরকে কবর এবং আমার কবরকে উপাসনালয় বানাবে না। তবে আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, কেননা তোমরা যেখানেই থাকো তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যাবে। -সুনানে আবু দাউদ– ২/৭০৩, হাদীস নং- ২০৩৫
স্মর্তব্য : এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ উম্মতকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাত্রা অতিরঞ্জিত করে শিরকের অবতারণা করতে বারণ করেছেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলার পর সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হলেন নবীগণ। আর তাদের মধ্যে সর্বাধিক শ্রেষ্ঠতর হলেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারপরও যখন তার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তার প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা হোক। এতে বুঝা গেল যে, তিনিও আল্লাহ তা‘আলার রহমত ও কৃপা দৃষ্টির মুখাপেক্ষী। সুতরাং মা‘বুদ হওয়ার যোগ্য একমাত্র আল্লাহই। এরপর আর শিরকের কোন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সম্ভাবনাও অবশিষ্ট থাকে না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের বেলায় যখন এ দ্বার রুদ্ধ হয়ে গেল তখন অন্যদের বেলায় তা কল্পনাই করা যায় না। সে জন্য তার পবিত্র রওযাকেও উপাসনার স্থানে পরিণত করা থেকে বেঁচে থাকার তাকিদ করেছেন। তবে শ্রদ্ধা-ভক্তির উপায় হিসেবে তার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা এর দ্বারা শিরকমুক্ত পদ্ধতিতে নবীজীর ভালবাসা লাভ করা সম্ভব হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে বেশী বেশী দুরূদ পাঠ করে শিরকমুক্ত জীবন গঠন করার তাওফীক দান করুন। আমীন
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন : http://www.rahesunat.com
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নিজেদের ঘরকে কবর এবং আমার কবরকে উপাসনালয় বানাবে না। তবে আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, কেননা তোমরা যেখানেই থাকো তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যাবে। -সুনানে আবু দাউদ– ২/৭০৩, হাদীস নং- ২০৩৫
স্মর্তব্য : এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ উম্মতকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাত্রা অতিরঞ্জিত করে শিরকের অবতারণা করতে বারণ করেছেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলার পর সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হলেন নবীগণ। আর তাদের মধ্যে সর্বাধিক শ্রেষ্ঠতর হলেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারপরও যখন তার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তার প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা হোক। এতে বুঝা গেল যে, তিনিও আল্লাহ তা‘আলার রহমত ও কৃপা দৃষ্টির মুখাপেক্ষী। সুতরাং মা‘বুদ হওয়ার যোগ্য একমাত্র আল্লাহই। এরপর আর শিরকের কোন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সম্ভাবনাও অবশিষ্ট থাকে না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের বেলায় যখন এ দ্বার রুদ্ধ হয়ে গেল তখন অন্যদের বেলায় তা কল্পনাই করা যায় না। সে জন্য তার পবিত্র রওযাকেও উপাসনার স্থানে পরিণত করা থেকে বেঁচে থাকার তাকিদ করেছেন। তবে শ্রদ্ধা-ভক্তির উপায় হিসেবে তার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা এর দ্বারা শিরকমুক্ত পদ্ধতিতে নবীজীর ভালবাসা লাভ করা সম্ভব হবে।