সালেকীনদের নিয়মিত আমল (জবানী যিকির)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :
শেষ রাত্রে উঠে তাহাজ্জদ পড়বে। যদি উঠতে না পারে, তবে এশার পরেই তাহাজ্জুদের নিয়তে কিছু নফল পড়ে নিবে। সম্ভব হলে ফজরের পূর্বে ১২ তাসবীহের যিকির ইহতেমামের সাথে আদায় করবে। উত্তম হলো এক বৈঠকে পুরা করে নিবে। সম্ভব না হলে ২ বারে পুরা করবে।
কিবলামুখী হয়ে চারজানু হয়ে শরীর সোজা রেখে প্রথমে দরূদ শরীফ তিনবার, সূরা ইখলাস তিনবার, ইস্তেগফার তিনবার।
অতঃপর اَللّٰهُمَّ طَهِّرْ قَلْبِيْ عَنْ غَيْرِكَ وَ نَوِّرْ قَلْبِيْ بِنُوْرِ مَعْرِفَتِكَ أَبَدًا يَا اَللهُ يَا اللهُ
তাআউয, তাসমিয়া পড়ে لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم
অতঃপর لا اله الا الله হালকা আওয়াজে যা নিজ কানে শোনা যায়। لا اله الا الله ২০০ বার। প্রতি ১০ বারের পর صلى الله عليه وسلم محمد رسول الله ।
الله الله ৬০০ বার শেষে جل جلاله ।
الله الله ১০০ বার।
সর্বশেষে ইস্তেগফার ও দরূদ শরীফ পড়ে চিশতিয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দীয়া, সোহরাওয়ার্দীয়া ৪ সিলসিলার সকল বুযূর্গানেদ্বীন এবং তামাম উম্মতে মুসলিমার উদ্দেশে সাওয়াব রেছানী করে দিবেন।
বার তাসবীহ আদায় করার পর মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে ফজর নামায আদায় করবেন। অতঃপর কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, মুনাজাতে মাকবুল এক মঞ্জিল পড়বেন।
অতঃপর ১২,০০০ (বার হাজার) হতে ২৪,০০০ (চব্বিশ হাজার) পর্যন্ত আসানির সাথে الله الله (আল্লাহ, আল্লাহ) যিকির করবেন। এ যিকির একা নির্জন জায়গায় বসে অন্যের আরামে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে সামান্য আওয়াজ এবং হালকা জরবের সাথে করবেন। তারপর দুপুরের সময় কিছু আরাম করবেন। যোহরের নামায মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করে আবারও উপরের নিয়মে ১২,০০০ (বার হাজার) থেকে ২৪,০০০ (চব্বিশ হাজার) বার পর্যন্ত الله الله (আল্লাহ, আল্লাহ) যিকির করবেন। তারপর আছরের নামায মসজিদে আদায় করে পীর সাহেবের মজলিস অথবা উনার সোহবতে নেক নিয়তে বসে থাকবেন। যদি উনি কাছে না থাকে তাহলে খোলা মাঠ, নির্জন জঙ্গল বা নদীর দিকে বেড়াতে যাবেন। তারপর মাগরিবের নামায জামাতের সাথে আদায় করে আওয়াবীনের নামায আদায় করে যতক্ষন মনে লাগে ততক্ষন মাউতের পরে যে সব কবর, আযাব, হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি হবে সে সবের মউতের মোরাকাবা করবেন এবং প্রতিদিন সারা দিনের নফসের হিসাব নিবেন। কোন গুনাহ হয়ে থাকলে তাওবা করে নিবেন। আর আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য অগনিত নিয়ামত যা ভোগ করছি তার জন্য শোকর আদায় করবেন।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত যিকির কে কি পরিমাণ করবেন এবং যিকিরের পদ্ধতি কি হবে তা নিজ শাইখ থেকে জেনে নিবেন। যদি যিকির করতে করতে কোন কাইফিয়্যাত অথবা হাল পয়দা হয় তাহলে অনতিবিলম্বে নিজ পীর সাহেবকে অবহিত করবেন। হাল বা কাইফিয়্যাতের পিছনে পরবেন না।
সহজ তিনটি সুন্নাত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন