স্বামী-স্ত্রীর হক
স্বামী-স্ত্রীর হকসমূহের মধ্যে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্যের মধ্যে রয়েছে-
১. নিজ সাধ্যমত স্ত্রীর প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদান করা।
২. স্ত্রীকে দ্বীনি মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা দেয়া।
৩. তার আত্বীয়-স্বজনদের সুযোগমত তার সাথে সাক্ষাত করতে দেয়া।
৪. স্ত্রীর ভুল-চুকের জন্য অধিকাংশ সময় ধৈর্য ধারণ করা, চুপ থাকা। বিশেষ প্রয়োজন বশতঃ শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থাা অবলম্বন করা।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যসমূহের মধ্যে রয়েছেঃ
১. স্বামীর আনুগত্য ও খেদমত করা এবং সর্বদা তার সন্তুষ্টি
অর্জনের চেষ্টা করা। হাঁ স্বামী কোন অবৈধ কাজের নির্দেশ
প্রদান করলে অপারগতা প্রকাশ করা।
২. স্বামীর সামর্থ্যরে ঊর্ধ্বে তার কাছে কোন কিছুর ফরমায়েশ না করা।
৩. অনুমতি ব্যতিত তার মাল-সম্পদ ব্যয় না করা।
৪. স্বামীর আত্মীয়-স্বজনের সাথে কঠোর ব্যবহার না করা, যা স্বামীর অন্তরে ব্যথার কারণ হতে পারে। স্বামীর মাত-পিতাকে বিশেষভাবে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা।
স্বামী স্ত্রীর হক সমূহ সঠিকভাবে আদায় করার তাওফীক দান কর। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ফায়দা
● হযরত আলী রাযি. থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি কামনা করে যে, তার বয়স বর্ধিত হোক, রিযিক প্রশস্ত হয়ে যাক, নিকৃষ্ট দুশমন থেকে রক্ষা পেয়ে যাক, সে যেন তাক্ওয়া অবলম্বন করে এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে। -তারগীব খণ্ড ৩ পৃষ্ঠা : ৩৩৫
● হযরত আলী রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সবচে’ দ্রুত পাওয়া যায় আত্মীয়তা বন্ধনের প্রতিদান। এমন কি গৃহবাসী যদি গুনাহগারও হয়। যখন সে মানুষের সঙ্গে ইহসান ও সদ্ব্যবহার করে, তখন তা সম্পদে, সন্তান-সন্তুতিতে সমৃদ্ধি বয়ে আনে। এ আমল আল্লাহ তা‘আলার কাছে কতোই না প্রিয়।
● হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জুমু‘আর রাতে যখন সব মানুষের আমল পেশ করা হয় তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর আমল কবুল করা হয় না।
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইটে
মাহে জিলহজ্ব ও কুরবানীর ফযীলত করণীয় ও বর্জনীয় || রাহে সুন্নাত ব্লগ
উলামায়ে কেরাম : মর্যাদা, দায়িত্ব ও কর্তব্য
কুরআনুল কারিমের কথা প্রবন্ধটি পড়তে ক্লিক করুন
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ