হযরত থানবী র.

হযরত থানবী র. বাণী সমগ্র Thanvi Rah. Its message is complete

জানা-অজানা জীবনের গল্প বিবিধ

হযরত থানবী র. এর বাণী সমগ্র

(১) হযরত থানবী রহ. বলেন, আল্লাহ তা‘আলা কালাম সর্বাধিক কামেল ও পূর্ণ। কেননা, সর্বাবস্থার জ্ঞান সর্বাপেক্ষা অধিক একমাত্র তাঁহারই। তদুপরি তিনি ক্ষমতাবান মালিক, সকল বস্তুর মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রভাব বিস্তারকারী, কোন হাল অবস্থা তাহার উপর প্রবল বা প্রভাব বিস্তার হতে পারে না। ফলে, যে কোন বিধান তাঁহার পক্ষ হতে প্রকাশ হলে উহা সবই অত্যন্ত কামেল ও পূর্ণতাপ্রাপ্ত হবে তাঁর বিধানসমূহ বহু কঠোর হতে পারে না, কেননা, তাঁর উপর ক্রোধের অবস্থা প্রভাব বিস্তার করতে পারে না এবং অতিশয় নমনীয়ও হতে পারে না। কেননা, তার উপর করুণার অবস্থাও প্রবল হয় না; বরং তিনি নিজ ইচ্ছা ও ইখতিয়ারে দয়ালু ও করুণাময় এবং নিজ ইচ্ছায় ক্রোধশালী। কোন ছিফাতে বা গুণের মধ্যে তিনি বাধ্য কিংবা পরাভূত নন। অতএব বুঝা গেল, যা আল্লাহ তা‘আলার কালাম উহার সমস্ত বিধান অত্যধিক ও অত্যল্প তথা স্বল্পমাত্রা বা অতিমাত্রা হতে পবিত্র হবে। এটা তো কারণ যে, প্রত্যেক মানুষের জন্য শরীয়তের পাবন্দ হওয়া আবশ্যক। কেননা, ঐ আহকাম বা বিধানসমূহ সকলের উপযোগী বিষয়সমূহের সমন্বয়। তদুপরি আমাদের অবস্থা তো সকলের সম্মুখেই দৃশ্যমান যে, আমাদের মধ্যে যে অবস্থা প্রবল হয় উহা আমাদেরকে পরাভূত করে দেয়। এ কারণে আল্লাহর শরীয়তের পাবন্দী আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার, যাতে আমরা মধ্যবর্তী পন্থার উপর বিদ্যমান থাকতে পারি। বাস্তবিকই শরীয়তের শিক্ষা-দীক্ষার মধ্যে অতি উত্তম মধ্যবর্তিতা ও মধ্যম পন্থা।

(২) হযরত থানবী রহ. বলেন, হাদীছ গবেষণা ও অনুসন্ধান করিলে প্রতীয়মান হয় যে, সমগ্র সৎ চরিত্রের সারমর্ম এই যে, কাহারও দ্বারা অন্য লোকে যেন কষ্ট না পায়। যেমন, হাদীসে উল্লেখ আছে, কোন লোক যেন অপর ভাইয়ের লাঠি অন্যত্র অপসারণ না করে। কেননা সে পেরেশান চিন্তান্বিত হবে হাসি-ঠাট্টা কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে এরূপ করবে না। শরীয়তে এ ধরনের হাসি-ঠাট্টা নিষেধ হওয়ার কারণ অন্যের কষ্ট-ক্লেশ।

(৩) হযরত থানবী রহ. বলিয়াছেন, কথার উত্তর না দেওয়া অত্যন্ত বেয়াদবী, এরূপ বিলম্ব করিয়া উত্তর দিয়া অপেক্ষায় রাখার কষ্ট দেওয়াও বেয়াদবী।

(৪) হযরত থানবী রহ. বলিয়াছেন মুসলমান নিজের সন্তান-সন্ততিকে যতই ভালবাসুক না কেন, কিন্তু যদি ঐ সন্তান আল্লাহ এবং রাসূলের ব্যাপারে ঔদ্ধত্য বা বেয়াদবী করেয়া বসে, তখন লক্ষ্য করুন, পিতা কি পরিমাণ ক্রোধান্বিত হয়ে পড়বে। নিজের সাথে বেয়াদবী করলে কিছুতেই এত ক্রোধান্বিত হত না। তবে দেখুন, যদি নবীজীর সাথে ঐ পিতার প্রকৃতিগত মহব্বত না হত তবে এরূপ ক্রোধ কেন আসত?

(৫) হযরত থানবী রহ. বলেন, সমগ্র পৃথিবী যদি গোনাহে ও পাপে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, তবে খালেছ তাওবা সবকিছু মুছে দিবে। লক্ষ্য করুন, সামান্য বারুদ বিরাটাকার পাহাড়কে উড়িয়ে দেয়।

কুনুতে নাযেলা আহকাম ও মাসায়েল

আল্লাহর আইন শাশ্বত ও চিরন্তন

মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *