হাদীয়া গ্রহনে পরহেজগারী
উমর ইবনে মুহাজীর রহ: বলেন, একদা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহ: এর মনে আপেল খাওয়ার সখ জাগল। ইতিমধ্যে তার এক চাচাত ভাই তার কাছে হাদীয়া স্বরুপ একটি আপেল পাঠিয়ে দেয়। তিনি তা হাতে নিয়ে তার ঘ্রানের খুব প্রশংসা করে গোলামকে বললেন, যাও এটা যে পাঠিয়েছে তাকে ফেরত দিয়ে আমার সালাম জানিয়ে বলবে,তোমার এ হাদীয়া জায়গা মতে পৌছেছে। তিনি তা খুব পছন্দ করেছেন। এখন তিনি হাদীয়া স্বরুপ এটা আপনাকে দিয়ে দিচ্ছেন।
একথা শুনে গোলাম বলল, আমীরুল মু’মিনীন! এটা গ্রহন করাতে অসুবিধা কি? আপনার চাচাত ভাই ই তো পাটিয়েছে। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তো হাদীয়া গ্রহন করতেন। হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহ: বললেন, এধরনের আদান প্রদান রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য হাদীয়া ছিল ঠিকই, আমাদের জন্য ঘুষ। কারন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মানুষ হাদীয়ার নিয়তেই প্রদান করত আর আমাদেরকে এ নিয়তে দেয় যে, এ উছিলায় আমাদের দ্বারা স্বার্থ উদ্ধার করে নেওয়া যাবে।
উসূলে যররীন কিতাবে তালেবে ইলমের উদ্দেশ্যে বিশেষ উপদেশ প্রদান করা হয়েছে যা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য পালন করা আবশ্যক।
- সময়, সুস্থতা ও অবসর এই তিনটিকে গণীমত মনে করা।
- উস্তাদের সামনে নিজেকে মিটিয়ে দেওয়া তথা নিজের মর্যাদা ও আত্মসম্মানকে বিসর্জন দেওয়া।
- কথায় বা কাজে কোন ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করে নেওয়া। কথাতে যুক্তি দেখাতে নেই। কেননা এটা অহংকারের আলামত।
- উস্তাদের মহব্বত, আনুগত্য ও আদবের প্রতি খেয়াল রাখা। এতে অনেক ফায়দা হয়।
- যে সবক দেওয়া হয় তা সাথে সাথে মুখস্ত করার দ্বারা হিম্মত ও আগ্রহ বাড়ে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উক্ত উপদেশ মেনে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন।
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ
নবীজীর সুমহান চরিত্র | The noble character of the Prophet | Rahe Sunnat