১০ নং সবক
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ-
(৮) بِاللهِ আল্লাহ তা‘আলার কাছে। (৯) مِنَ الشَّيْطَانِ শয়তান থেকে। (১০) الرَّجِيْمِ বিতাড়িত। اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশ্রয় চাই।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ-
(৮) ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে বাম হাতের কব্জি পেঁচিয়ে ধরা (পুরুষের জন্য)। (৯) ডান হাতের মধ্যের তিন আঙুল বাম হাতের কব্জির উপর বিছিয়ে রাখা (পুরুষের জন্য)। (১০) নাভির নীচে হাত বাঁধা (পুরুষের জন্য)।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন।
(৮) চোগলখুরী করা, অথার্ৎ একদিকের কথা আরেক দিকে লাগিয়ে মুসলমানদের পরস্পরে ঝগড়া—বিবাদ বাধিয়ে দেয়া। (৯) তোহমত (মিথ্যা অপবাদ) দেয়া, অথার্ৎ কোনো ব্যক্তিকে এমন দোষে দোষারোপ করা যা আদৌ তার মধ্যে নেই। (১০) ধোকা দেয়া।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়-
(৮) দায়িত্বে অবহেলাকারী জান্নাতের সুগন্ধীও পাবেনা যেমন হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. হতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের মধ্যে যাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে তা সেভাবে পালন করেনি যেভাবে সে নিজের ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালন করে থাকে, সে জান্নাতের সুগন্ধীও পাবে না। (৯) একটি গুনাহ আরেকটি গুনাহের কারণ হয়ে যায়, বিধায় গুনাহগার ব্যক্তি গুনাহে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে এবং গুনাহ ত্যাগ করা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়, দুর্বল হয়ে যায় তাওবা করার ইচ্ছা। এমনকি তাওবার তাওফিকও হয় না এবং ওই অবস্থায়—ই মৃত্যু এসে যায়। (নাউযুবিল্লাহ) (১০) অল্প দিনের মধ্যেই ওই গুনাহের অনিষ্টতার ভয় অন্তর থেকে দূরীভূত হয়ে যায়, অথার্ৎ ওই গুনাহকে আর অন্যায় মনে হয় না। “কেউ দেখে ফেলবে, জেনে ফেলবে ” এমন পরওয়াও করে না; বরং প্রকাশ্যে সেসব গুনাহ করতে থাকে। হায়া—লজ্জা খতম হয়ে যায়। এমন ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার মাগফিরাত ও ক্ষমা হতে বহু দূরে সরে যায়, যা বড়ই ভয়াবহ ব্যাপার।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়-
(৮) অন্তরে প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি লাভ হয়, ফলে সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়ে এমন শান্তি অর্জিত হয়, যার বিপরীতে গোটা জগতের রাজত্ব ও সুখ—শান্তিও তুচ্ছ মনে হয়। (৯) জীবনে বহু গায়েবী সু—সংবাদ লাভ হয়। যেমন- কোনো একটি বরকতময় স্বপ্ন দেখার সৌভাগ্য লাভ করা। ফলশ্রম্নতিতে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মুহাব্বত, ভালবাসা ও ভরসা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে নেক আমলের স্পৃহাও বেড়ে যায়। (১০) মৃত্যুর সময় ফেরেশতাগণ নেককার ব্যক্তিকে জান্নাত ও জান্নাতের নেয়ামতসমূহ এবং আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির সু—সংবাদ দিতে থাকেন।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক