১১ নং সবক । এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah

ইসলাম প্রতিদিন এক মিনিটের মাদরাসা

১১ নং সবক

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ

১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ-

(৯) مِنَ الشَّيْطَانِ শয়তান থেকে। (১০) اَلرَّجِيْمِ বিতাড়িত। (১১) بِسْمِ اللهِ আল্লাহ তা‘আলার নামে আরম্ভ করছি।

২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- 

(৯) ডান হাতের মধ্যের তিন আঙুল বাম হাতের কব্জির উপর বিছিয়ে রাখা (পুরুষের জন্য)। (১০) পুরুষের জন্য নাভির নীচে হাত বাঁধা। (১১) ‘সানা’ অথার্ৎ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالٰى جَدُّكَ وَلَاۤ اِلٰهَ غَيْرُكَ পড়া।

৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন।

(৯) তোহমত (মিথ্যা অপবাদ) দেয়া, অথার্ৎ কোনো ব্যক্তিকে এমন দোষে দোষারোপ করা যা আদৌ তার মধ্যে নেই। (১০) ধোকা দেয়া। (১১) কাউকে লজ্জা দেয়া, অথার্ৎ কোনো ব্যক্তিকে তার অতীতের গুনাহ বা অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাকে লজ্জা দেয়া। অথচ সে ওই গুনাহ হতে তাওবা করেছে। এ বিষয়ে হাদীস শরীফে কঠিন সতর্কবাণী এসেছে যে, এমন লজ্জা প্রদানকারী ব্যক্তি উক্ত গুনাহে লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না। (নাউযুবিল্লাহ)

৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়-

(৯) একটি গুনাহ আরেকটি গুনাহের কারণ হয়ে যায়, বিধায় গুনাহগার ব্যক্তি গুনাহে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে এবং গুনাহ ত্যাগ করা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়, দুর্বল হয়ে যায় তাওবা করার ইচ্ছা। এমনকি তাওবার তাওফিকও হয় না এবং ওই অবস্থায়—ই মৃত্যু এসে যায়। (নাউযুবিল্লাহ) (১০) অল্প দিনের মধ্যেই ওই গুনাহের অনিষ্টতার ভয় অন্তর থেকে দূরীভূত হয়ে যায়, অথার্ৎ ওই গুনাহকে আর অন্যায় মনে হয় না। “কেউ দেখে ফেলবে, জেনে ফেলবে” এমন পরওয়াও করে না; বরং প্রকাশ্যে সেসব গুনাহ করতে থাকে। হায়া—লজ্জা খতম হয়ে যায়। এমন ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার মাগফিরাত ও ক্ষমা হতে বহু দূরে সরে যায়, যা বড়ই ভয়াবহ ব্যাপার। (১১) যেহেতু প্রতিটি গুনাহ—ই আল্লাহ তা‘আলার কোনো না কোনো দুশমনের মীরাস (পরিত্যক্ত সম্পদ) এ কারণে গুনাহগার ও পাপী ওই অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের ওয়ারিস হয়ে যায়। আর হাদীস শরীফে এসেছে- “যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায় বা জাতির সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তভুর্ক্ত”। তাই তাওবা করতে বিলম্ব করা উচিৎ নয়।

৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়-

(৯) জীবনে বহু গায়েবী সু—সংবাদ লাভ হয়। যেমন- কোনো একটি বরকতময় স্বপ্ন দেখার সৌভাগ্য লাভ করা। ফলশ্রম্নতিতে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মুহাব্বত, ভালবাসা ও ভরসা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে নেক আমলের স্পৃহাও বেড়ে যায়। (১০) মৃত্যুর সময় ফেরেশতাগণ নেককার ব্যক্তিকে জান্নাত ও জান্নাতের নেয়ামতসমূহ এবং আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির সু—সংবাদ দিতে থাকেন। (১১) কোনো কোনো নেক কাজের প্রভাব ও বরকত এমনও হয় যে, কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে দিল ওই দিকেই ঝুকে যায় যা তার জন্য কল্যাণকর ও উপকারী হয়। ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা থাকে না এবং সিদ্ধন্তহীনতা  দূরীভুত হয়ে যায়। যেমন- ইস্তেখারার নামায পড়ে দু‘আ করার মাধ্যমে বিশেষভাবে এটা লাভ করা যায়।

এক মিনিটের মাদরাসা এক নং সবক

এক মিনিটের মাদরাসা দুই নং সবক

এক মিনিটের মাদরাসা তিন নং সবক

চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চি‌ঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

আল্লাহর আইন শাশ্বত ও চিরন্তন

মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *