১২ নং সবক
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (১০) اَلرَّجِيْمِ বিতাড়িত। (১১) بِسْمِ اللهِ আল্লাহ তা‘আলার নামে আরম্ভ করছি। (১২) اَلرَّحْمٰنِ পরম করুনাময়। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ আল্লাহ তা‘আলার নামে আরম্ভ করছি যিনি পরম করুনাময়।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (১০) পুরুষের জন্য নাভির নীচে হাত বাঁধা। (১১) ‘সানা’ অথার্ৎ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالٰى جَدُّكَ وَلَاۤ اِلٰهَ غَيْرُكَ পড়া। ক্বিরাতের সুন্নতের বর্ণনা শুরু হচ্ছে- ক্বিরাতের সুন্নাত ৭টি- (১) اَعُوْذُبِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ পড়া।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (১০) ধোকা দেয়া। (১১) কাউকে লজ্জা দেয়া, অথার্ৎ কোনো ব্যক্তিকে তার অতীতের গুনাহ বা অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাকে লজ্জা দেয়া। অথচ সে ওই গুনাহ হতে তাওবা করেছে। এ বিষয়ে হাদীস শরীফে কঠিন সতর্কবাণী এসেছে যে, এমন লজ্জা প্রদানকারী ব্যক্তি উক্ত গুনাহে লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না। (নাউযুবিল্লাহ) (১২) কাউকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে দেখে খুশি হওয়া।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (১০) অল্প দিনের মধ্যেই ওই গুনাহের অনিষ্টতার ভয় অন্তর থেকে দূরীভূত হয়ে যায়, অথার্ৎ ওই গুনাহকে আর অন্যায় মনে হয় না। “কেউ দেখে ফেলবে, জেনে ফেলবে ” এমন পরওয়াও করে না; বরং প্রকাশ্যে সেসব গুনাহ করতে থাকে। হায়া—লজ্জা খতম হয়ে যায়। এমন ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার মাগফিরাত ও ক্ষমা হতে বহু দূরে সরে যায়, যা বড়ই ভয়াবহ ব্যাপার। (১১) যেহেতু প্রতিটি গুনাহ—ই আল্লাহ তা‘আলার কোনো না কোনো দুশমনের মীরাস (পরিত্যক্ত সম্পদ) এ কারণে গুনাহগার ও পাপী ওই অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের ওয়ারিস হয়ে যায়। আর হাদীস শরীফে এসেছে- “যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায় বা জাতির সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তভুর্ক্ত”। তাই তাওবা করতে বিলম্ব করা উচিৎ নয়। (১২) গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার নিকট ঘৃণ্য, লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়। তাই মাখলুকের কাছেও সে হয় অপমানিত। যদিও কেউ কোনো কিছুর লোভ কিংবা ভয়ের কারণে বাহ্যত তাকে সম্মান প্রদর্শন করেও থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাকে অন্তর থেকে কেউ ভালবাসে না।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (১০) মৃত্যুর সময় ফেরেশতাগণ নেককার ব্যক্তিকে জান্নাত ও জান্নাতের নেয়ামতসমূহ এবং আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির সু—সংবাদ দিতে থাকেন। (১১) কোনো কোনো নেক কাজের প্রভাব ও বরকত এমনও হয় যে, কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে দিল ওই দিকেই ঝুকে যায় যা তার জন্য কল্যাণকর ও উপকারী হয়। ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা থাকে না এবং সিদ্ধন্তহীনতা দূরীভুত হয়ে যায়। যেমন- ইস্তেখারার নামায পড়ে দু‘আ করার মাধ্যমে বিশেষভাবে এটা লাভ করা যায়। (১২) কিছু কিছু নেক কাজের ফলাফল তো এমনই যে, এর কারণে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল কাজের যিম্মাদারী ও দায়িত্ব নিয়ে নেন, যেমন- হাদীসে কুদসীতে এসেছে, “হে আদম সন্তান! দিনের শুরুর ভাগে তুমি আমার জন্য চার রাকা‘আত ইশরাকের নামায আদায় করো, তোমার ওই দিনের সকল কাজের দায়িত্ব আমি আল্লাহ নিয়ে নিব”।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক