১৩ নং সবক । এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah

ইসলাম প্রতিদিন এক মিনিটের মাদরাসা

১৩ নং সবক

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ

১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (১১) بِسْمِ اللهِ আল্লাহ তা‘আলার নামে আরম্ভ করছি। (১২) اَلرَّحْمٰنِ পরম করুনাময়। (১৩) اَلرَّحِيْمِ অসীম দয়ালু। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ আল্লাহ তা‘আলার নামে আরম্ভ করছি, যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু ।

২. নামাযের সুন্নাতসমূহ-  (১১) ‘সানা’ অথার্ৎ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالٰى جَدُّكَ وَلَاۤ اِلٰهَ غَيْرُكَ পড়া। ক্বিরাতের সুন্নাত ৭টি- (১) اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ পড়া। )২) بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ  পড়া।

৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (১১) কাউকে লজ্জা দেয়া, অথার্ৎ কোনো ব্যক্তিকে তার অতীতের গুনাহ বা অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাকে লজ্জা দেয়া। অথচ সে ওই গুনাহ হতে তাওবা করেছে। এ বিষয়ে হাদীস শরীফে কঠিন সতর্কবাণী এসেছে যে, এমন লজ্জা প্রদানকারী ব্যক্তি উক্ত গুনাহে লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না। (নাউযুবিল্লাহ) (১২) কাউকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে দেখে খুশি হওয়া। (১৩) অহংকার করা, অথার্ৎ নিজেকে বড় মনে করা আর অন্যকে ছোট মনে করে তুচ্ছ জ্ঞান করা।

৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (১১) যেহেতু প্রতিটি গুনাহ—ই আল্লাহ তা‘আলার কোনো না কোনো দুশমনের মীরাস (পরিত্যক্ত সম্পদ) এ কারণে গুনাহগার ও পাপী ওই অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের ওয়ারিস হয়ে যায়। আর হাদীস শরীফে এসেছে- “যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায় বা জাতির সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তভুর্ক্ত”। তাই তাওবা করতে বিলম্ব করা উচিৎ নয়। (১২) গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার নিকট ঘৃণ্য, লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়। তাই মাখলুকের  কাছেও সে হয় অপমানিত। যদিও কেউ কোনো কিছুর লোভ কিংবা ভয়ের কারণে বাহ্যত তাকে সম্মান প্রদর্শন করেও থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাকে অন্তর থেকে কেউ ভালবাসে না। (১৩) গুনাহের অশুভ প্রভাব কেবল গুনাহগারের উপরই পতিত হয় না; বরং অন্যান্য মাখলুকের উপরও এর প্রভাব পড়ে। এ কারণে অপরাপর প্রাণীকুলরাও ওই গুনাহগারের উপর লা‘নত ও বদ—দু‘আ করতে থাকে।

৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (১১) কোনো কোনো নেক কাজের প্রভাব ও বরকত এমনও হয় যে, কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে দিল ওই দিকেই ঝুকে যায় যা তার জন্য কল্যাণকর ও উপকারী হয়। ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা থাকে না এবং সিদ্ধন্তহীনতা  দূরীভুত হয়ে যায়। যেমন- ইস্তেখারার নামায পড়ে দু‘আ করার মাধ্যমে বিশেষভাবে এটা লাভ করা যায়। (১২) কিছু কিছু নেক কাজের ফলাফল তো এমনই যে, এর কারণে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল কাজের যিম্মাদারী ও দায়িত্ব নিয়ে নেন, যেমন- হাদীসে কুদসীতে এসেছে, “হে আদম সন্তান! দিনের শুরুর ভাগে তুমি আমার জন্য চার রাকা‘আত ইশরাকের নামায আদায় করো, তোমার ওই দিনের সকল কাজের দায়িত্ব আমি আল্লাহ নিয়ে নিব”।  (১৩) কিছু কিছু নেক আমল এমনও রয়েছে যার মাধ্যমে ধন—সম্পদে বরকত লাভ হয়, যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, যদি ক্রেতা ও বিক্রেতা সত্য কথা বলে এবং পণ্যের দোষ—ত্রুটি প্রকাশ করে দেয় তবে তাদের উভয়ের কারবারে বরকত প্রদান করা হয়।

এক মিনিটের মাদরাসা এক নং সবক

এক মিনিটের মাদরাসা দুই নং সবক

এক মিনিটের মাদরাসা তিন নং সবক

চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চি‌ঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

আল্লাহর আইন শাশ্বত ও চিরন্তন

মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *