১৪ নং সবক
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (১২) اَلرَّحْمٰنِ পরম করুনাময়। (১৩) اَلرَّحِيْمِ অসীম দয়ালু। (১৪) اَلْحَمْدُ সকল প্রশংসা।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- ক্বিরাতের সুন্নাত ৭টি- (১) اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ পড়া। (২) بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ পড়া। (৩) وَ لَا الضَّآلِّیْنَ এর পর নীচুস্বরে আমীন বলা।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (১২) কাউকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে দেখে খুশি হওয়া। (১৩) অহংকার করা, অথার্ৎ নিজেকে বড় মনে করা আর অন্যকে ছোট মনে করে তুচ্ছ জ্ঞান করা। (১৪) গর্ব করা, অথার্ৎ নিজের বড়ত্ব সর্বদা উপরে রাখার চেষ্টা করা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (১২) গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার নিকট ঘৃণ্য, লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়। তাই মাখলুকের কাছেও সে হয় অপমানিত। যদিও কেউ কোনো কিছুর লোভ কিংবা ভয়ের কারণে বাহ্যত তাকে সম্মান প্রদর্শন করেও থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাকে অন্তর থেকে কেউ ভালবাসে না। (১৩) গুনাহের অশুভ প্রভাব কেবল গুনাহগারের উপরই পতিত হয় না; বরং অন্যান্য মাখলুকের উপরও এর প্রভাব পড়ে। এ কারণে অপরাপর তাদেরই অন্তভুর্ক্ত ওই গুনাহগারের উপর লা‘নত ও বদ—দু‘আ করতে থাকে। (১৪) গুনাহ করার কারণে বিবেক—বুদ্ধি হ্রাস পেতে থাকে। তাছাড়া গুনাহ করাটাই তো অনেক বড় নির্বুদ্ধিতার প্রমাণ। কারণ, সুস্থ্য বিবেকের অধিকারী হলে সে মহাপরাক্রমশালী উভয় জাহানের মালিক মহান রাব্বুল আলামীনের নাফরমানীতে লিপ্ত হতো না এবং গুনাহের সামান্য মজা পেয়ে দুনিয়া—আখেরাতের সমুদয় লাভকে ধ্বংস করে দিতো না।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (১২) কিছু কিছু নেক কাজের ফলাফল তো এমনই যে, এর কারণে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল কাজের যিম্মাদারী ও দায়িত্ব নিয়ে নেন, যেমন- হাদীসে কুদসীতে এসেছে, “হে আদম সন্তান! দিনের শুরুর ভাগে তুমি আমার জন্য চার রাকা‘আত ইশরাকের নামায আদায় করো, তোমার ওই দিনের সকল কাজের দায়িত্ব আমি আল্লাহ নিয়ে নিব”। (১৩) কিছু কিছু নেক আমল এমনও রয়েছে যার মাধ্যমে ধন—সম্পদে বরকত লাভ হয়, যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, যদি ক্রেতা ও বিক্রেতা সত্য কথা বলে এবং পণ্যের দোষ—ত্রুটি প্রকাশ করে দেয় তবে তাদের উভয়ের কারবারে বরকত প্রদান করা হয়। (১৪) দ্বীনদারী ও নেক আমলের বরকতে রাজত্ব ও হুকুমত দীর্ঘস্থায়ী হয়।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক