১৫ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ-
(১৩) اَلرَّحِيْمِ অসীম দয়ালু। (১৪) اَلْحَمْدُ সকল প্রশংসা। (১৫) لِلّٰهِ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই খাস।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ-
(২) بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ পড়া। (৩) وَ لَا الضَّآلِّیْنَ এর পর নীচুস্বরে আমীন বলা। (৪) ফজর ও যোহরে তিওয়ালে মুফাসসাল অর্থাৎ সুরা হুজুরাত থেকে সুরা বুরূজ পর্যন্ত। আসর ও ইশায় আওসাতে মুফাসসাল অর্থাৎ সুরা ত্বারিক থেকে সুরা লাম-ইয়াকুন পর্যন্ত এবং মাগরিবে কিসারে মুফাসসাল অর্থাৎ সুরা যিলযাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাসমূহ থেকে কোনো সুরা পড়া। তবে যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাসসাল পড়ারও অনুমতি আছে।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন।
(১৩) অহংকার করা, অর্থাৎ নিজেকে বড় মনে করা আর অন্যকে ছোট মনে করে তুচ্ছ জ্ঞান করা। (১৪) গর্ব করা, অর্থাৎ নিজের বড়ত্ব সর্বদা উপরে রাখার চেষ্টা করা। (১৫) সামর্থ থাকা সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য না করা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়-
(১৩) গুনাহের অশুভ প্রভাব কেবল গুনাহগারের উপরই পতিত হয় না; বরং অন্যান্য মাখলুকের উপরও এর প্রভাব পড়ে। এ কারণে অপরাপর তাদেরই অন্তর্ভুক্ত ওই গুনাহগারের উপর লা‘নত ও বদ-দু‘আ করতে থাকে। (১৪) গুনাহ করার কারণে বিবেক-বুদ্ধি হ্রাস পেতে থাকে। তাছাড়া গুনাহ করাটাই তো অনেক বড় নির্বুদ্ধিতার প্রমাণ। কারণ, সুস্থ্য বিবেকের অধিকারী হলে সে মহাপরাক্রমশালী উভয় জাহানের মালিক মহান রাব্বুল আলামীনের নাফরমানীতে লিপ্ত হতো না এবং গুনাহের সামান্য মজা পেয়ে দুনিয়া-আখেরাতের সমুদয় লাভকে ধ্বংস করে দিতো না। (১৫) গুনাহগার ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লা‘নত ও অভিশাপে পড়ে যায়। কারণ, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক গুনাহগারের উপর লা‘নত করেছেন, যেমন- সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদী কারবারের লেখক এবং এর সাক্ষীর উপর লা‘নত করেছেন। এছাড়াও চোর, ছবি অংকণকারী, কওমে লুতের বদ আমলকারী (সমকামিতা) এবং সাহাবায়ে কেরাম রাযি. এর সমালোচনা ও গালমন্দকারীদের উপরও লা‘নত করেছেন।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়-
(১৩) কিছু কিছু নেক আমল এমনও রয়েছে যার মাধ্যমে ধন-সম্পদে বরকত লাভ হয়, যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, যদি ক্রেতা ও বিক্রেতা সত্য কথা বলে এবং পণ্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে দেয় তবে তাদের উভয়ের কারবারে বরকত প্রদান করা হয়। (১৪) দ্বীনদারী ও নেক আমলের বরকতে রাজত্ব ও হুকুমত দীর্ঘস্থায়ী হয়। (১৫) কিছু কিছু আর্থিক ইবাদতের দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার ক্রোধ নির্বাপিত হয় এবং বান্দা অপমৃত্যু থেকে রক্ষা পায়, যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- দান-সদকা আল্লাহ তা‘আলার গযব রহমত দ্বারা পরিবর্তন হয় এবং অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক