১৭ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (১৫) لِلّٰهِ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই খাস। (১৬) رَبِّ প্রতিপালক। (১৭) اَلْعٰلَمِيْنَ সমস্ত সৃষ্টি জগত। اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (৪) ফজর ও যোহরে তিওয়ালে মুফাসসাল অর্থাৎ সুরা হুজুরাত থেকে সুরা বুরূজ পর্যন্ত। আসর ও ইশায় আওসাতে মুফাসসাল অর্থাৎ সুরা ত্বারিক থেকে সুরা লাম-ইয়াকুন পর্যন্ত এবং মাগরিবে কিসারে মুফাসসাল অর্থাৎ সুরা যিলযাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাসমূহ থেকে কোনো সুরা পড়া। তবে যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাসসাল পড়ারও অনুমতি আছে। (৫) ফজরের প্রথম রাকা‘আতকে দ্বিতীয় রাকা‘আত হতে দীর্ঘ করা, অর্থাৎ প্রথম রাকা‘আতের তুলনায় পৌনে এক অথবা অর্ধেক (তিলাওয়াত) করা। (৬) কিরা‘আত অতি ধীরে অথবা অতি দ্রুত গতিতে না পড়া; বরং মধ্যম গতিতে পড়া।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (১৫) সামর্থ থাকা সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য না করা। (১৬) কারো আর্থিক ক্ষতি করা। (১৭) কারো আত্মসম্মানে আঘাত করা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (১৫) গুনাহগার ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লা‘নত ও অভিশাপে পড়ে যায়। কারণ, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক গুনাহগারের উপর লা‘নত করেছেন, যেমন- সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদী কারবারের লেখক এবং এর সাক্ষীর উপর লা‘নত করেছেন। এছাড়াও চোর, ছবি অংকণকারী, কওমে লুতের বদ আমলকারী (সমকামিতা) এবং সাহাবায়ে কেরাম রাযি. এর সমালোচনা ও গালমন্দকারীদের উপরও লা‘নত করেছেন। (১৬) গুনাহগার ব্যক্তি ফেরেশতাগণের দু‘আ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়, যেমন- কুরআনে কারীমে এসেছে, “ফেরেশতাগণ ওই সব মু‘মিন বান্দাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন যারা তাঁর হুকুম-আহকাম মেনে চলে”। সুতরাং যে ব্যক্তি গুনাহ করে সে কি করে এই নেয়ামতের মালিক হতে পারে? (১৭) দুনিয়াতে বিভিন্ন রকমের অশান্তি সৃষ্টি হয়। যেমন- অনাবৃষ্টি, আবহাওয়ার প্রতিকূলতা, ফসল-ফলাদির অপ্রতুলতা ইত্যাদি। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, দিন দিন যে বালা-মুসীবত ও বালা-মুসীবত ও বে-বরকতী বেড়েই চলছে তা আমাদের গুনাহের ফল।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (১৫) কিছু কিছু আর্থিক ইবাদতের দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার ক্রোধ নির্বাপিত হয় এবং বান্দা অপমৃত্যু থেকে রক্ষা পায়, যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- দান-সদকা আল্লাহ তা‘আলার গযব রহমত দ্বারা পরিবর্তন হয় এবং অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে। (১৬) দু‘আর মাধ্যমে বালা-মুসীবত দূর হয়, নেক কাজের দ্বারা বৃদ্ধি পায় হায়াত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- একমাত্র দু‘আ-ই পারে তাক্বদীরের পরিবর্তন ঘটাতে এবং নেক আমল-ই পারে হায়াত বাড়াতে। (১৭) সুরা ইয়াসীন নিয়মিত তিলাওয়াতে সকল কাজে সাফল্য অর্জিত হয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করে তার সকল প্রয়োজন পূরণ করে দেয়া হয়।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক