১৯ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। লেখক : মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার রহ. অনুবাদক : মাওলানা হামেদ জাহেরী, সম্পাদক : অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (১৭) اَلْعٰلَمِيْنَ সমস্ত সৃষ্টি জগত। (১৮) اَلرَّحْمٰنِ পরম দয়ালু। (১৯) اَلرَّحِيْمِ অসীম মেহেরবান।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (৬ কিরা‘আত অতি ধীরে অথবা অতি দ্রুত গতিতে না পড়া; বরং মধ্যম গতিতে পড়া। (৭) ফরয নামাযের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকা‘আতে সুরা ফাতিহা পড়া। রুকুর সুন্নাত আরম্ভ হচ্ছে- রুকুর সুন্নাত ৮টি- (১) রুকুতে যাওয়ার সময় اَللهُ اَكْبَرُ বলা।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (১৬) কারো আর্থিক ক্ষতি করা। (১৭) কারো আত্মসম্মানে আঘাত করা। (১৮) ছোটদের স্নেহ না করা। (১৯) বড়কে সম্মান না করা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (১৭) দুনিয়াতে বিভিন্ন রকমের অশান্তি সৃষ্টি হয়। যেমন- অনাবৃষ্টি, আবহাওয়ার প্রতিকূলতা, ফসল-ফলাদির অপ্রতুলতা ইত্যাদি। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, দিন দিন যে বালা-মুসীবত ও বে-বরকতী বেড়েই চলছে তা আমাদের গুনাহের ফল। (১৮) গুনাহের কারণে লজ্জা-শরম দূর হয়ে যায়। আর যখন লজ্জা-শরম থাকে না তখন তার পক্ষে যে কোনো অপরাধ করাই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে যায় এবং গুনাহগারের উপর শয়তান প্রভাব বিস্তার করার ফলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সহজেই গুনাহে লিপ্ত করে দেয়। (১৯) গুনাহগারের অন্তর থেকে আল্লাহ তা‘আলার আযমত (বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব) দূর হয়ে যায়। আর যখন কারো দিলে আল্লাহ তা‘আলার আযমত থাকে না তখন আল্লাহ তা‘আলার কাছেও তার কোনো ইজ্জত থাকে না। ফলশ্রুতিতে ওই ব্যক্তির লোক সমাজে কোনো মর্যাদা থাকে না। লাঞ্ছনা, অবমাননা ও বে-ইজ্জতের জীবন যাপন করতে থাকে।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (১৭) সুরা ইয়াসীন নিয়মিত তিলাওয়াতে সকল কাজে সাফল্য অর্জিত হয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করে তার সকল প্রয়োজন পূরণ করে দেয়া হয়। (১৮) সুরা ওয়াক্বি‘আহ নিয়মিত তিলাওয়াতে রিযিকের কষ্ট ও অভাব দূর হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকি‘আহ তিলাওয়াত করে তার (রিযিকের) কোনো অভাব থাকবে না। (১৯) ঈমানের বরকতে অল্প খাবারেই পরিতৃপ্তি লাভ হয়, পেট ভরে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- এক ব্যক্তি অনেক বেশী খাবার খেতো, অত:পর সে মুসলমান হলো এবং অল্প অল্প খাবার খেতে লাগলো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুমিন ব্যক্তি এক নাড়ি দিয়ে আহার করে, আর কাফের দশ নাড়ি দিয়ে খাবার খায়।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক