২০ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah

ইসলাম প্রতিদিন এক মিনিটের মাদরাসা

২০ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ

১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (১৮) اَلرَّحْمٰنِ পরম দয়ালু। (১৯) اَلرَّحِيْمِ অসীম মেহেরবান। (২০) مٰلِكِ  যিনি অধিপতি, মালিক।

২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (৭) ফরয নামাযের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকা‘আতে সুরা ফাতিহা  পড়া। রুকুর সুন্নাত ৮টি-  (১) রুকুতে যাওয়ার সময় اَللهُ اَكْبَرُ বলা। (২) রুকুতে উভয় হাত দিয়ে হাঁটুকে শক্ত করে ধরা (পুরুষের জন্য)।

৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (১৮) ছোটদের স্নেহ না করা। (১৯) বড়কে সম্মান না করা। (২০) অনাহারী ও অভাবগ্রস্থদের সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য না করা।

৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (১৮) গুনাহের কারণে লজ্জা-শরম দূর হয়ে যায়। আর যখন লজ্জা-শরম থাকে না তখন তার পক্ষে যে কোনো অপরাধ করাই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে যায় এবং গুনাহগারের উপর শয়তান প্রভাব বিস্তার করার ফলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সহজেই গুনাহে লিপ্ত করে দেয়। (১৯) গুনাহগারের অন্তর থেকে আল্লাহ তা‘আলার আযমত (বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব) দূর হয়ে যায়। আর যখন কারো দিলে আল্লাহ তা‘আলার আযমত থাকে না তখন আল্লাহ তা‘আলার কাছেও তার কোনো ইজ্জত থাকে না। ফলশ্রুতিতে ওই ব্যক্তির লোক সমাজে কোনো মর্যাদা থাকে না। লাঞ্ছনা, অবমাননা ও বে-ইজ্জতের জীবন যাপন করতে থাকে। (২০) গুনাহগার হতে আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতসমূহ ছিনিয়ে নেয়া হয়। চতুর্দিক থেকে বালা-মুসীবত তাকে ঘিরে ধরে। হ্যাঁ, কোনো কোনো গুনাহগারকে যে আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করতে দেখা যায়। এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে সাময়িক ছাড়। এমন ব্যক্তি তো আরো ভীষণ বিপদের সম্মুখীন হবে। কারণ রাব্বুল আলামীন যখন তাকে পাকড়াও করবেন তখন উভয় জগতের শাস্তি একত্রে প্রদান করবেন।

৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (১৮) সুরা ওয়াক্বি‘আহ নিয়মিত তিলাওয়াতে রিযিকের কষ্ট ও অভাব দূর হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকি‘আহ তিলাওয়াত করে তার (রিযিকের) কোনো অভাব থাকবে না।  (১৯) ঈমানের বরকতে অল্প খাবারেই পরিতৃপ্তি লাভ হয়, পেট ভরে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- এক ব্যক্তি অনেক বেশী খাবার খেতো, অত:পর সে মুসলমান হলো এবং অল্প অল্প খাবার খেতে লাগলো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুমিন ব্যক্তি এক নাড়ি দিয়ে আহার করে, আর কাফের দশ নাড়ি দিয়ে খাবার খায়।  (২০) কিছু কিছু দু‘আর বরকতে রোগ-ব্যাধি ও মুসীবত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কোনো বিপদগ্রস্থ বা রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দু‘আটি পড়বে ওই ব্যক্তি কস্মিনকালেও ওই রোগ বা মুসীবতে পড়বে না। দু‘আটি এই-

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِه وَفَضَّلَنِىْ عَلٰى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا.

নোট- দু‘আটি অবশ্যই নীচুস্বরে পড়বে, যাতে বিপদগ্রস্থ লোকটি মনে কষ্ট না পায়।

এক মিনিটের মাদরাসা এক নং সবক

এক মিনিটের মাদরাসা দুই নং সবক

এক মিনিটের মাদরাসা তিন নং সবক

চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চি‌ঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

আল্লাহর আইন শাশ্বত ও চিরন্তন

মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *