২১ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (১৯) اَلرَّحِيْمِ পরম দয়ালু। (২০) مٰلِكِ যিনি অধিপতি, মািলক। (২১) يَوْمِ الدِّيْنِ কর্মফল দিবস। مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ যিনি কর্মফল ও বিচার দিবসের মালিক।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- রুকুর সুন্নাত ৮টি- (১) রুকুতে যাওয়ার সময় اَللهُ اَكْبَرُ বলা। (২) রুকুতে উভয় হাত দিয়ে হাঁটুকে শক্ত করে ধরা (পুরুষের জন্য)। (৩) হাঁটু ধরতে হাতের আঙুলগুলো পরস্পর ফাঁক রেখে ধরা (পুরুষের জন্য)।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (১৯) বড়কে সম্মান না করা। (২০) অনাহারী ও অভাবগ্রস্থদের সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য না করা। (২১) দুনিয়াবী কোনো মনোমালিন্যতার কারণে কোনো মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশী কথা বন্ধ রাখা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (১৯) গুনাহগারের অন্তর থেকে আল্লাহ তা‘আলার আযমত (বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব) দূর হয়ে যায়। আর যখন কারো দিলে আল্লাহ তা‘আলার আযমত থাকে না তখন আল্লাহ তা‘আলার কাছেও তার কোনো ইজ্জত থাকে না। ফলশ্রুতিতে ওই ব্যক্তির লোক সমাজে কোনো মর্যাদা থাকে না। লাঞ্ছনা, অবমাননা ও বে-ইজ্জতের জীবন যাপন করতে থাকে। (২০) গুনাহগার হতে আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতসমূহ ছিনিয়ে নেয়া হয়। চতুর্দিক থেকে বালা-মুসীবত তাকে ঘিরে ধরে। হ্যাঁ, কোনো কোনো গুনাহগারকে যে আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করতে দেখা যায়। এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে সাময়িক ছাড়। এমন ব্যক্তি তো আরো ভীষণ বিপদের সম্মুখীন হবে। কারণ রাব্বুল আলামীন যখন তাকে পাকড়াও করবেন তখন উভয় জগতের শাস্তি একত্রে প্রদান করবেন। (২১) গুনাহ করার কারণে ইজ্জত ও সম্মানজনক উপাধীসমূহ ছিনিয়ে নিয়ে এর পরিবর্তে লাঞ্ছনা ও অবমাননাকর উপাধী প্রদান করা হয়। যথা- নেক কাজ করার মাধ্যমে যে ব্যক্তিকে নেককার, শরীফ, আল্লাহওয়ালা, তাহাজ্জুদগুজার ইত্যাদি বলা হতো, আল্লাহ না করুন যদি সে গুনাহ করতে থাকে তবে সে ব্যক্তিকেই তখন পাপী, গুনাহগার, জালেম, ইতর, বদমাইশ ইত্যাদি খারাপ নামে আখ্যায়িত করা হয়।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (১৯) ঈমানের বরকতে অল্প খাবারেই পরিতৃপ্তি লাভ হয়, পেট ভরে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- এক ব্যক্তি অনেক বেশী খাবার খেতো, অত:পর সে মুসলমান হলো এবং অল্প অল্প খাবার খেতে লাগলো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুমিন ব্যক্তি এক নাড়ি দিয়ে আহার করে, আর কাফের দশ নাড়ি দিয়ে খাবার খায়। (২০) কিছু কিছু দু‘আর বরকতে রোগ-ব্যাধি ও মুসীবত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কোনো বিপদগ্রস্থ বা রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দু‘আটি পড়বে ওই ব্যক্তি কস্মিনকালেও ওই রোগ বা মুসীবতে পড়বে না। দু‘আটি এই-
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِه وَفَضَّلَنِىْ عَلٰى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا
নোট- দু‘আটি অবশ্যই নীচুস্বরে পড়বে, যাতে বিপদগ্রস্থ লোকটি মনে কষ্ট না পায়।
(২১) কোনো কোনো দু‘আয় এমন বরকত রয়েছে যে, এর ফলে সকল পেরেশানি দূরীভূত হয় এবং ঋণ পরিশোধ হয়। এর জন্য হাদীসে নিম্নোক্ত দু‘আটি বর্ণিত হয়েছে-
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبُنِ وَالْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক