২২ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (২০) مٰلِكِ যিনি অধিপতি, মািলক। (২১) يَوْمِ الدِّيْنِ কর্মফল দিবস। مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ যিনি কর্মফল ও বিচার দিবসের মালিক। (২২) اِيَّاكَ একমাত্র আপনারই।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (২) রুকুতে উভয় হাত দিয়ে হাঁটুকে শক্ত করে ধরা (পুরুষের জন্য)। (৩) হাঁটু ধরতে হাতের আঙুলগুলো পরস্পর ফাঁক রেখে ধরা (পুরুষের জন্য)। (৪) রুকুতে উভয় পায়ের গোছা সোজা রাখা।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (২০) অনাহারী ও অভাবগ্রস্থদের সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য না করা। (২১) দুনিয়াবী কোনো মনোমালিন্যতার কারণে কোনো মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশী কথা বন্ধ রাখা। (২২) কোনো প্রাণীর ছবি উঠানো।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (২০) গুনাহগার হতে আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতসমূহ ছিনিয়ে নেয়া হয়। চতুর্দিক থেকে বালা-মুসীবত তাকে ঘিরে ধরে। হ্যাঁ, কোনো কোনো গুনাহগারকে যে আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করতে দেখা যায়। এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে সাময়িক ছাড়। এমন ব্যক্তি তো আরো ভীষণ বিপদের সম্মুখীন হবে। কারণ রাব্বুল আলামীন যখন তাকে পাকড়াও করবেন তখন উভয় জগতের শাস্তি একত্রে প্রদান করবেন। (২১) গুনাহ করার কারণে ইজ্জত ও সম্মানজনক উপাধীসমূহ ছিনিয়ে নিয়ে এর পরিবর্তে লাঞ্ছনা ও অবমাননাকর উপাধী প্রদান করা হয়। যথা- নেক কাজ করার মাধ্যমে যে ব্যক্তিকে নেককার, শরীফ, আল্লাহওয়ালা, তাহাজ্জুদগুজার ইত্যাদি বলা হতো, আল্লাহ না করুন যদি সে গুনাহ করতে থাকে তবে সে ব্যক্তিকেই তখন পাপী, গুনাহগার, জালেম, ইতর, বদমাইশ ইত্যাদি খারাপ নামে আখ্যায়িত করা হয়। (২২) গুনাহের কারণে মনের শান্তি দূর হতে থাকে, মনের মধ্যে সর্বদা ভীতি বিরাজ করে যে, কেউ দেখে ফেলছে না তো? মান-সম্মান গেলো না তো? কেউ প্রতিশোধ নিতে আসছে না তো? এতে করে জীবন বড় দূর্বিষহ ও অশান্তিময় হয়ে উঠে।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (২০) কিছু কিছু দু‘আর বরকতে রোগ-ব্যাধি ও মুসীবত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন- হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কোনো বিপদগ্রস্থ বা রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দু‘আটি পড়বে ওই ব্যক্তি কস্মিনকালেও ওই রোগ বা মুসীবতে পড়বে না। দু‘আটি এই-
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِه وَفَضَّلَنِىْ عَلٰى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا
নোট- দু‘আটি অবশ্যই নীচুস্বরে পড়বে, যাতে বিপদগ্রস্থ লোকটি মনে কষ্ট না পায়।
(২১) কোনো কোনো দু‘আয় এমন বরকত রয়েছে যে, এর ফলে সকল পেরেশানি দূরীভূত হয় এবং ঋণ পরিশোধ হয়। এর জন্য হাদীসে নিম্নোক্ত দু‘আটি বর্ণিত হয়েছে-
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبُنِ وَالْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
(২২) কিছু কিছু দু‘আ এমনও আছে যে, যেগুলো পড়ার মাধ্যমে সর্বপ্রকার মাখলুকের ক্ষতি ও অনিষ্টতা হতে রক্ষা পাওয়া যায়, যেমন- সকাল-সন্ধা বিসমিল্লাহসহ সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার পড়লে সব ধরণের ক্ষতি থেকে হেফাজতের বিষয়ে হাদীস শরীফে ওয়াদা এসেছে।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক