২৩ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (২১) يَوْمِ الدِّيْنِ কর্মফল দিবস। مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ যিনি কর্মফল ও বিচার দিবসের মালিক। (২২) اِيَّاكَ একমাত্র আপনারই। (২৩) نَعْبُدُ আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (৩) হাঁটু ধরতে হাতের আঙুলগুলো পরস্পর ফাঁক রেখে ধরা (পুরুষের জন্য)। (৪) রুকুতে উভয় পায়ের গোছা সোজা রাখা। (৫) উভয় হাত সম্পূর্ণ সোজা রাখা, কনুই বাঁকা না করা। রুকূ অবস্থায় পিঠ কোমরের সাথে বরাবর করে রাখা (পুরুষের জন্য)।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (২১) দুনিয়াবী কোনো মনোমালিন্যতার কারণে কোনো মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশী কথা বন্ধ রাখা। (২২) কোনো প্রাণীর ছবি উঠানো। (২৩) অন্যের জমিনের উপর মিথ্যা মিরাসী মালিকানা দাবি করা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (২১) গুনাহ করার কারণে ইজ্জত ও সম্মানজনক উপাধীসমূহ ছিনিয়ে নিয়ে এর পরিবর্তে লাঞ্ছনা ও অবমাননাকর উপাধী প্রদান করা হয়। যথা- নেক কাজ করার মাধ্যমে যে ব্যক্তিকে নেককার, শরীফ, আল্লাহওয়ালা, তাহাজ্জুদগুজার ইত্যাদি বলা হতো, আল্লাহ না করুন যদি সে গুনাহ করতে থাকে তবে সে ব্যক্তিকেই তখন পাপী, গুনাহগার, জালেম, ইতর, বদমাইশ ইত্যাদি খারাপ নামে আখ্যায়িত করা হয়। (২২) গুনাহের কারণে মনের শান্তি দূর হতে থাকে, মনের মধ্যে সর্বদা ভীতি বিরাজ করে যে, কেউ দেখে ফেলছে না তো? মান-সম্মান গেলো না তো? কেউ প্রতিশোধ নিতে আসছে না তো? এতে করে জীবন বড় দূর্বিষহ ও অশান্তিময় হয়ে উঠে। (২৩) বার বার গুনাহ করতে থাকলে ওই গুনাহ স্বভাবগত হয়ে যায়। এমন কি মৃত্যুর সময় মুখ দিয়ে কালিমা বের হয় না; বরং জীবনে যে গুনাহ বার বার করতো তাই বের হয়, যেমন- এক ভিক্ষুক (হয়তো ভিক্ষাবৃত্তি তার জন্য জায়েয ছিল না) মৃত্যুর সময় ভিক্ষা চাইতে চাইতেই জান বের হয়ে গেল। জনৈক গুনাহগারকে মৃত্যুর সময় কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করা হলে সে বললো, “আমার মুখ দিয়ে কালিমা আসছেনা” এই অবস্থায়ই সে মারা গেল। (নাউযু বিল্লাহি মিন যালিকা)
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (২১) কোনো কোনো দু‘আয় এমন বরকত রয়েছে যে, এর ফলে সকল পেরেশানি দূরীভূত হয় এবং ঋণ পরিশোধ হয়। এর জন্য হাদীসে নিম্নোক্ত দু‘আটি বর্ণিত হয়েছে-
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبُنِ وَالْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ.
(২২) কিছু কিছু দু‘আ এমনও আছে যে, যেগুলো পড়ার মাধ্যমে সর্বপ্রকার মাখলুকের ক্ষতি ও অনিষ্টতা হতে রক্ষা পাওয়া যায়, যেমন- সকাল-সন্ধা বিসমিল্লাহসহ সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার পড়লে সব ধরণের ক্ষতি থেকে হেফাজতের বিষয়ে হাদীস শরীফে ওয়াদা এসেছে। (২৩) কোনো কোনো নেক আমল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়, যেমন- সালাতুল হাজাত পড়ে দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার হাজত পূর্ণ করে দেন।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক