২৪ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। লেখক : মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার রহ. অনুবাদক : মাওলানা হামেদ জাহেরী, সম্পাদক : অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (২২) اِيَّاكَ একমাত্র আপনারই। (২৩) نَعْبُدُ আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি। (২৪) وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ এবং আমরা কেবল আপনারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (৪) রুকুতে উভয় পায়ের গোছা সোজা রাখা। (৫) উভয় হাত সম্পূর্ণ সোজা রাখা, কনুই বাঁকা না করা। রুকূ অবস্থায় পিঠ কোমরের সাথে বরাবর করে রাখা (পুরুষের জন্য)। (৬) মাথা, পিঠ ও কোমর এক বরাবর করে রাখা (পুরুষের জন্য)।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (২২) কোনো প্রাণীর ছবি উঠানো। (২৩) অন্যের জমিনের উপর মিথ্যা মিরাসী মালিকানা দাবি করা। (২৪) পূর্ণ সুস্থ্য্য ও সু—স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ভিক্ষা করা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (২২) গুনাহের কারণে মনের শান্তি দূর হতে থাকে, মনের মধ্যে সর্বদা ভীতি বিরাজ করে যে, কেউ দেখে ফেলছে না তো? মান—সম্মান গেলো না তো? কেউ প্রতিশোধ নিতে আসছে না তো? এতে করে জীবন বড় দূর্বিষহ ও অশান্তিময় হয়ে উঠে। (২৩) বার বার গুনাহ করতে থাকলে ওই গুনাহ স্বভাবগত হয়ে যায়। এমন কি মৃত্যুর সময় মুখ দিয়ে কালিমা বের হয় না; বরং জীবনে যে গুনাহ বার বার করতো তাই বের হয়, যেমন- এক ভিক্ষুক (হয়তো ভিক্ষাবৃত্তি তার জন্য জায়েয ছিল না) মৃত্যুর সময় ভিক্ষা চাইতে চাইতেই জান বের হয়ে গেল। জনৈক গুনাহগারকে মৃত্যুর সময় কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করা হলে সে বললো, “আমার মুখ দিয়ে কালিমা আসছেনা” এই অবস্থায়ই সে মারা গেল। নাউযু বিল্লাহি মিন যালিকা। (২৪) গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার রহমত থেকে সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে যায়। এ কারণে সে তাওবা করে না। তাওবা ছাড়াই মারা যায়। জনৈক (বে—নামাযী) ব্যক্তিকে তার মৃত্যুর সময় কালিমার তালক্বীন করাতে গেলে সে বললো, কালিমা পড়ে আমার কি হবে? আমিতো কোনো দিন নামায—ই পড়িনি। ফলে সে এভাবেই কালিমা না পড়ে মৃত্যুবরণ করলো। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হেফাজত করুন।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (২২) কিছু কিছু দু‘আ এমনও আছে যে, যেগুলো পড়ার মাধ্যমে সর্বপ্রকার মাখলুকের ক্ষতি ও অনিষ্টতা হতে রক্ষা পাওয়া যায়, যেমন- সকাল—সন্ধা বিসমিল্লাহসহ সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার পড়লে সব ধরণের ক্ষতি থেকে হেফাজতের বিষয়ে হাদীস শরীফে ওয়াদা এসেছে। (২৩) কোনো কোনো নেক আমল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়, যেমন- সালাতুল হাজাত পড়ে দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার হাজত পূর্ণ করে দেন। (২৪) ঈমান ও নেক আমলের বরকতে আল্লাহ তা‘আলা নেককার ব্যক্তির অভিভাবক ও সাহায্যকারী হয়ে যান।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক
