২৫ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। লেখক : মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার রহ. অনুবাদক : মাওলানা হামেদ জাহেরী, সম্পাদক : অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (২৩) نَعْبُدُ আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি। (২৪) وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ এবং আমরা কেবল আপনারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। (২৫) اِهْدِنَا আমাদেরকে দেখিয়ে দিন।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (৫) উভয় হাত সম্পূর্ণ সোজা রাখা, কনুই বাঁকা না করা। রুকূ অবস্থায় পিঠ কোমরের সাথে বরাবর করে রাখা (পুরুষের জন্য)। (৬) মাথা, পিঠ ও কোমর এক বরাবর করে রাখা (পুরুষের জন্য)। (৭) রুকুর মধ্যে কমপক্ষে তিনবার سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْمُ পড়া।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (২৩) অন্যের জমিনের উপর মিথ্যা মিরাসী মালিকানা দাবি করা। (২৪) পূর্ণ সুস্থ্য ও সু—স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ভিক্ষা করা। (২৫) দাড়ি মুণ্ডানো, (শেভ করা) অথবা এক মুষ্টির ছোট রাখা।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (২৩) বার বার গুনাহ করতে থাকলে ওই গুনাহ স্বভাবগত হয়ে যায়। এমন কি মৃত্যুর সময় মুখ দিয়ে কালিমা বের হয় না; বরং জীবনে যে গুনাহ বার বার করতো তাই বের হয়, যেমন- এক ভিক্ষুক (হয়তো ভিক্ষাবৃত্তি তার জন্য জায়েয ছিল না) মৃত্যুর সময় ভিক্ষা চাইতে চাইতেই জান বের হয়ে গেল। জনৈক গুনাহগারকে মৃত্যুর সময় কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করা হলে সে বললো, “আমার মুখ দিয়ে কালিমা আসছেনা” এই অবস্থায়ই সে মারা গেল। নাউযু বিল্লাহি মিন যালিকা। (২৪) গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার রহমত থেকে সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে যায়। এ কারণে সে তাওবা করে না। তাওবা ছাড়াই মারা যায়। জনৈক (বে—নামাযী) ব্যক্তিকে তার মৃত্যুর সময় কালিমার তালক্বীন করাতে গেলে সে বললো, কালিমা পড়ে আমার কি হবে? আমিতো কোনো দিন নামায—ই পড়িনি। ফলে সে এভাবেই কালিমা না পড়ে মৃত্যুবরণ করলো। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হেফাজত করুন। (২৫) গুনাহ করার কারণে অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়, যা তাওবার মাধ্যমে মুছে যায়। অন্যথায় এ দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তাওবা করার যোগ্যতাই বিনষ্ট হয়ে যায়।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (২৩) কোনো কোনো নেক আমল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়, যেমন- সালাতুল হাজাত পড়ে দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার হাজত পূর্ণ করে দেন। (২৪) ঈমান ও নেক আমলের বরকতে আল্লাহ তা‘আলা নেককার ব্যক্তির অভিভাবক ও সাহায্যকারী হয়ে যান। (২৫) যারা ঈমান আনয়ন করে এবং নেক আমল করে তাদের ব্যাপারে ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দেয়া হয় যে, ওই সব লোকদের দিল মজবুত করে দাও এবং তাদেরকে ঈমানের উপর অটল, অনড় ও অবিচল রাখো।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক