৩৪ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah লেখক : মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার রহ. অনুবাদক : মাওলানা হামেদ জাহেরী, সম্পাদক : অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী। অক্ষর বিন্যাস : মাওলানা আবু তাসনীম উমাইর
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (৩৬) اَللهُ الصَّمَدُ আল্লাহ তা‘আলা অমুখাপেক্ষী। অর্থাৎ সব তার মুখাপেক্ষী, তিনি কারো মুখোপেক্ষী নন। (৩৭) لَمْ يَلِدْ তাঁর কোনো সন্তান নেই। (৩৮) وَلَمْ يُوْلَدْ এবং তিনিও কারো সন্তান নন।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (১০) সিজদার মধ্যে কমপক্ষে তিনবার سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى পড়া। (১১) সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলা। । (১২) সিজদা থেকে উঠার সময় প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর উভয় হাত, তারপর হাঁটু উঠানো এবং দুই সিজদার মাঝখানে স্থির হয়ে বসা।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (৩৬) মিথ্যা কসম খাওয়া। (৩৭) ঘুষ নেয়া। (৩৮) ঘুষ দেয়া। অবশ্য যদি কোথাও ঘুষ দেয়া ছাড়া জালেমের জুলুম থেকে রেহাই পাওয়া না যায় তবে সেখানে ঘুষ দিলে গুনাহ হবে না। তবে ঘুষ নেয়া সর্বাবস্থায়-ই হারাম।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (৩৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যখন আল্লাহ তা‘আলা কোনো বান্দার গুনাহের প্রতিশোধ নিতে চান তখন অধিকহারে বাচ্চাদের মৃত্যু হতে থাকে, অপর দিকে নারীরা বন্ধা (নিঃসন্তান) হতে থাকে।
(৩৭) গুনাহের কারণে আল্লাহ তা‘আলা শাসকদের অন্তরে প্রজাদের প্রতি ক্ষোভ ও ক্রোধ সৃষ্টি করে দেন। এ কারণে তারা দেশের জনগণের উপর কঠিন অত্যাচার ও শাস্তি প্রয়োগ করে থাকে।
(৩৮) পূর্বে যারা প্রশংসা করতো, গুনাহের কারণে তারাই পরে নিন্দা করতে শুরু করবে। আল্লাহ তা‘আলার নাফরমানী ও অবাধ্যতার কারণে মানুষের অন্তর থেকে তাঁর মুহাব্বত, ভালবাসা ও সম্মান দূর হয়ে যায়।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (৩৬) খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়ার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর হয়, অধিক পরিমাণে কল্যাণ লাভ হয়, রিযিক বৃদ্ধি পায় এবং সকল প্রকার বরকত লাভ হয়। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে- হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়া দারিদ্রতা দূর করে দেয় এবং এটি আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের সুন্নাত।
(৩৭) একে অপরকে সালাম বিনিময় করার মাধ্যমে পরস্পরে মুহাব্বত বৃদ্ধি পায় এবং অন্তর অহংকার মুক্ত হয়। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে- হযরত আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না ঈমান আনবে। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের ঈমান পূর্ণ হবে না যতক্ষণ না পরস্পরে মুহাব্বত করবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কথা বলে দিব না? যার উপর আমল করলে তোমাদের মধ্যে মুহাব্বত বৃদ্ধি পাবে? সেটা হলো, তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।” (অর্থাৎ পরিচিত-অপরিচিত সকলকে সালাম দাও।)
(৩৮) নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা সকল প্রকার পেরেশানি-দুশ্চিন্তা, সংকীর্ণতা হতে নিষ্কৃতি দান করেন এবং কল্পনাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করেন। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করবে তাকে আল্লাহ তা‘আলা যাবতীয় দুশ্চিন্তা হতে মুক্ত করবেন। যাবতীয় সংকীর্ণতা হতে নিষ্কৃতি দান করবেন এবং কল্পনাতীত উৎস থেকে তার জন্য রিযিকের ব্যবস্থা করে দিবেন।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক