৩৭ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah লেখক : মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার রহ. অনুবাদক : মাওলানা হামেদ জাহেরী, সম্পাদক : অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী। অক্ষর বিন্যাস : মাওলানা আবু তাসনীম উমাইর
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (৩৫) أَحَدٌ এক বা অদ্বিতীয়। (৩৬) اَللهُ الصَّمَدُ আল্লাহ তা‘আলা অমুখাপেক্ষী। অর্থাৎ সব তার মুখোপেক্ষী, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। (৩৭) لَمْ يَلِدْ তাঁর কোনো সন্তান নেই।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (৯) উভয় হাত কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত জমিনের উপর বিছিয়ে না রাখা (পুরুষের জন্য)। (১০) সিজদার মধ্যে কমপক্ষে তিনবার سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى পড়া। (১১) সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলা।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (৩৫) নিরপরাধ কাউকে খুন করা। অর্থাৎ অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা। (৩৬) মিথ্যা কসম খাওয়া। (৩৭) ঘুষ নেয়া।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (৩৫) দুনিয়ার মোহ ও ভালবাসায় পড়ে মৃত্যুকে ঘৃণা করার কারণে অন্তরে কাপুরুষতা ও ভীরুতা সৃষ্টি হয় এবং দুশমনের অন্তর থেকে ভয় দূর করে দেয়া হয়।
(৩৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যখন আল্লাহ তা‘আলা কোনো বান্দার গুনাহের প্রতিশোধ নিতে চান তখন অধিকহারে বাচ্চাদের মৃত্যু হতে থাকে, অপর দিকে নারীরা বন্ধা (নিঃসন্তান) হতে থাকে।
(৩৭) গুনাহের কারণে আল্লাহ তা‘আলা শাসকদের অন্তরে প্রজাদের প্রতি ক্ষোভ ও ক্রোধ সৃষ্টি করে দেন। এ কারণে তারা দেশের জনগণের উপর কঠিন অত্যাচার ও শাস্তি প্রয়োগ করে থাকে।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (৩৫) সকাল-সন্ধায় নিম্নোক্ত দু‘আটি পাঠ করলে এর বরকতে আল্লাহ তা‘আলা তার দ্বীন-ঈমান, জান-মাল, পরিবার-পরিজনকে হেফাযতে রাখেন এবং অন্তর তাদের ব্যাপারে পেরেশানি ও উদ্বেগ হতে মুক্ত হয়ে যায়। দু‘আটি এই- بِسْمِ اللهِ عَلٰى دِيْنِىْ وَنَفْسِىْ وَوَلَدِىْ وَاَهْلِىْ وَمَالِىْ
(৩৬) খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়ার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর হয়, অধিক পরিমাণে কল্যাণ লাভ হয়, রিযিক বৃদ্ধি পায় এবং সকল প্রকার বরকত লাভ হয়। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে- হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়া দারিদ্রতা দূর করে দেয় এবং এটি আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের সুন্নাত।
(৩৭) একে অপরকে সালাম বিনিময় করার মাধ্যমে পরস্পরে মুহাব্বত বৃদ্ধি পায় এবং অন্তর অহংকার মুক্ত হয়। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে- হযরত আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না ঈমান আনবে। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের ঈমান পূর্ণ হবে না যতক্ষণ না পরস্পরে মুহাব্বত করবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কথা বলে দিব না? যার উপর আমল করলে তোমাদের মধ্যে মুহাব্বত বৃদ্ধি পাবে? সেটা হলো, তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।” (অর্থাৎ পরিচিত-অপরিচিত সকলকে সালাম দাও।)
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক