৪০ নং সবক। এক মিনিটের মাদরাসা। One Minute Madrasah লেখক : মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার রহ. অনুবাদক : মাওলানা হামেদ জাহেরী, সম্পাদক : অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী। অক্ষর বিন্যাস : মাওলানা আবু তাসনীম উমাইর
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
১. নামাযে পঠিত যিকিরসমূহের অর্থ- (৩৮) وَلَمْ يُوْلَدْ এবং তিনিও কারো সন্তান নন। (৩৯) وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ এবং তাঁর নেই। (৪০) كُفُوًا أَحَدٌ সমকক্ষ কেউ। وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ এবং তার সমকক্ষ কেউ নেই।
২. নামাযের সুন্নাতসমূহ- (১২) সিজদা থেকে উঠার সময় প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর উভয় হাত, তারপর হাঁটু উঠানো এবং দুই সিজদার মাঝখানে স্থির হয়ে বসা। বসার সুন্নাত ১৩টি- (১) বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা, ডান পা খাড়া রাখা এবং পায়ের আঙুলগুলো কেবলার দিকে রাখা। (২) উভয় হাত রানের উপর রাখা। আঙুলের মাথা হাঁটু বরাবর রাখা।
৩. বড় বড় (কবীরা) গুনাহসমূহ- যা তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না এবং একটি গুনাহই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যার উপর দয়া করেন। (৩৮) ঘুষ দেয়া। অবশ্য যদি কোথাও ঘুষ দেয়া ছাড়া জালেমের জুলুম থেকে রেহাই পাওয়া না যায় তবে সেখানে ঘুষ দিলে গুনাহ হবে না। তবে ঘুষ নেয়া সর্বাবস্থায়-ই হারাম। (৩৯) মদ পান করা। (৪০) অন্যকে শরাব (মদ) পান করানো।
৪. গুনাহের ক্ষতিসমূহ দুনিয়াতেই যার সম্মুখীন হতে হয়- (৩৮) পূর্বে যারা প্রশংসা করতো, গুনাহের কারণে তারাই পরে নিন্দা করতে শুরু করবে। আল্লাহ তা‘আলার নাফরমানী ও অবাধ্যতার কারণে মানুষের অন্তর থেকে তাঁর মুহাব্বত, ভালবাসা ও সম্মান দূর হয়ে যায়।
(৩৯) বুখারী শরীফের হাদীসে এসেছে- যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে অন্যের জমির কিছু অংশও জবর দখল করে, তবে কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তিকে সাতত্ববক জমির নীচে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে।
(৪০) গুনাহের সবচাইতে বড় ক্ষতি তো এই যে, গুনাহগারের উপর আল্লাহ তা‘আলা নারাজ হয়ে যান। যদি গুনাহের আর কোনো প্রকার আযাব ও শাস্তি নাও হতো তবুও কেবল এতটুকু চিন্তা করেই গুনাহ বর্জন করা উচিৎ ছিল যে, কোনো মানুষ তার কোনো কল্যাণকামী ও উপকারীকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না। তবে সেই প্রকৃত মুহসিন, করুনাময়, মেহেরবান মালিক আল্লাহ যার অগণিত অসীম দয়া আর অফুরন্ত নেয়ামতে সারাক্ষণ আমরা ডুবে আছি, তাঁকে নারাজ করা ভদ্রতা ও বন্দেগীর পরিপন্থি নয় কি? এ ছাড়া গুনাহের কারণে দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তির হুমকি ধমকি তো আছেই।
৫. নেক কাজের ফায়দাসমূহ, যা দুনিয়াতেই পাওয়া যায়- (৩৮) নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা সকল প্রকার পেরেশানি-দুশ্চিন্তা, সংকীর্ণতা হতে নিষ্কৃতি দান করেন এবং কল্পনাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করেন।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করবে তাকে আল্লাহ তা‘আলা যাবতীয় দুশ্চিন্তা হতে মুক্ত করবেন। যাবতীয় সংকীর্ণতা হতে নিষ্কৃতি দান করবেন এবং কল্পনাতীত উৎস থেকে তার জন্য রিযিকের ব্যবস্থা করে দিবেন।
(৩৯) কুরআন শরীফে শোকর আদায়ে নেয়ামত বৃদ্ধির ওয়াদা রয়েছে। ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের নেয়ামতের শোকর আদায় করতে থাকবে তার ঈমান কখনো বিনষ্ট হবে না বা কমবে না; বরং দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং ঈমানী মৃত্যু নসীব হবে। যেহেতু খাদ্য গ্রহণের পর এই দু‘আটি পড়া সুন্নাত- اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ اَطْعَمَنِىْ وَ سَقَانِىْ وَ جَعَلَنِىْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ. উক্ত দু‘আয় খানার নেয়ামতের সাথে ঈমান ইসলামের নেয়ামত প্রাপ্তির শোকর আদায় হয়ে যায়।
(৪০) নেক কাজের সব চাইতে বড় ফায়দা এই যে, আল্লাহ তা‘আলা নেককার ব্যক্তির উপর রাজি হয়ে যান। হাদীসে কুদসীতে এসেছে- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যখন আমার ইবাদত করা হয় তখন আমি রাজি হয়ে যাই। আর যখন আমি রাজি হয়ে যাই তখন বরকত নাযিল করি। আর আমার বরকতের কোনো সীমা পরিসীমা নেই।
চারটি সোনালি আমল । চতুর্থ আমল : ইস্তে‘আযা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরীত চিঠির ব্যাখ্যা PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মানব জাতির মুক্তি ও কামিয়াবী সুরাতুল আসরের ৪ মূলনীতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক