সকাল সন্ধ্যার আমল। প্রতিদিনের জরুরী আমল pdf

সকাল সন্ধ্যার আমল pdf

সকাল সন্ধ্যার আমল pdf

১নং আমল :
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَۤا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَ نَا عَبْدُكَ ـ وَاَ نَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ ـ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ ـ اَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ ـ وَاَبُوْءُ لَكَ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَاِنَّهٗ لَايَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ
একবার পড়া।

অর্থ : আয় আল্লাহ! আপনিই আমার রব, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন আমি আপনার বান্দা। আমি সাধ্যানুযায়ী আপনার সাথে কৃত অঙ্গীকার ও ওয়াদার উপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি নিজের কৃত বদ আমল হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর আপনার যে সব নেয়ামত রয়েছে তা স্বীকার করছি এবং স্বীয় স্বীকারোক্তি দিচ্ছি। অতএব আমাকে ক্ষমা করেদিন। কেননা আপনি ভিন্ন কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।

ফায়দা :
হাদীস : হযরত শাদ্দাদ বিন আউস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সায়্যিদুল ইস্তেগফার : যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে, সকাল বেলা এই ইস্তেগফার পড়ে এবং সেই দিন সন্ধ্যার আগে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতী, আর যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে সন্ধ্যায় পড়বে আর সেই রাত্রে সকাল হওয়ার আগে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতী হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৬৩০৬

২নং আমল :  بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَئٌْ فِى الْاَرْضِ وَلَافِى السَّمَآءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ৩ বার পড়া।
অর্থ : ঐ আল্লাহ তায়ালার নামের সাথে সকাল অথবা সন্ধ্যা করলাম, যাঁর নামের সাথে জমিন-আসমানের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজান্তা।

ফায়দা :
হাদীস : হযরত উসমান বিন আফফান (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় বলবে,بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَئٌْ فِى الْاَرْضِ وَلَافِى السَّمَآءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ কোনো কিছুই তার ক্ষতি করবে না। অপর বর্ণনায় রয়েছে, হঠাৎ কোনো বিপদ তার উপর আসবে না। -মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং- ৪৭৪, তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৩৮৫

৩নং আমল : সকাল-সন্ধ্যায় رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّاﷺ
অর্থ : আমি আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দীন হিসাবে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী ও রাসূল হিসাবে (মনে-প্রাণে) গ্রহণ করে নিলাম।

ফায়দা :
হাদীস : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দুআ পাঠ করবে, কেয়ামতের দিন তাকে রাজী করা আল্লাহ তায়ালার জন্য আবশ্যক হয়ে যাবে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৯৬৯
হাদীস : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করেছে সে-ই যে আল্লাহকে রব, ইসলামকে দীন হিসাবে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসাবে গ্রহণ করেছে।-সহীহ মুসলিম-৩৪

হাদীস : হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে আবু সাঈদ! যে আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দীন হিসাবে ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসাবে মেনে নিবে, জান্নাত তার জন্য অবধারিত। তিনি অধিক খুশি হয়ে বললেন, আবার বলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি আবার বললেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১৮৮৪

৪নং আমল : সকাল-সন্ধ্যায় اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ ৩বার ‘সূরা হাশর’-এর শেষ ৩ আয়াত “হুয়াল্লাহুল্লাজী’ ১বার।

ফায়দা :
হাদীস : হযরত মাকিল বিন ইয়াসার (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকালে তিনবার বলবে اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ এরপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন, যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দুআ করবে। যদি সেই দিন মারা যায় তাহলে সে শহীদ অবস্থায় মারা যাবে। আর যে ব্যক্তি উহা সন্ধ্যায় পড়বে, যদি সে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তাহলে সেও শহীদ অবস্থায় মারা যাবে। -সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৩৪২৫

৫নং আমল : সকালে একবার পড়া
اَللّٰهُمَّ بِكَ اَصْبَحْنَا وَبِكَ اَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتُ وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ
অর্থ : ইয়া আল্লাহ আমি তোমার জীবনদানের কারণে সকাল করেছি এবং তোমার অনুগ্রহে সন্ধ্যায় উপনীত হব এবং তোমার অনুগ্রহে বেঁচে আছি এবং তোমার স্মরণেই মৃত্যুবরণ করব ও তোমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করব।

হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বলেন, যখন সকাল হতো, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,
اَللّٰهُمَّ بِكَ اَصْبَحْنَا وَبِكَ اَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتُ وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ
-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১০৭৬৩

৬নং আমল : সন্ধ্যায় একবার পড়া
اَللّٰهُمَّ بِكَ اَمْسَيْنَاوَ بِكَ اَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتُ وَاِلَيْكَ النُّشُوْرُ
অর্থ : ইয়া আল্লাহ! আমি তোমার জীবনদানের কারণে সন্ধ্যা করেছি এবং তোমার অনুগ্রহে সকালে উপনীত হব এবং তোমার অনুগ্রহে বেঁচে আছি এবং তোমার স্মরণেই মৃত্যুবরণ করব ও তোমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করব।

হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, যখন সন্ধ্যা হতো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,
اَللّٰهُمَّ بِكَ اَمْسَيْنَاوَ بِكَ اَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتُ وَاِلَيْكَ النُّشُوْرُ
-তিরমিযী শরীফ-৩৩৯১

৭নং আমল : কালিমায়ে তামজীদ :
سُبْحَانَ اللهِ وَ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ وَ لَۤا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ واللهُ اَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَاَقُوَّةَ اِلَّابِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ
অর্থ : আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সর্বাধিক প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, তিনি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মা’বুদ নাই, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অসৎ কাজ থেকে বেঁচে থাকার এবং সৎকাজ করারও কারো ক্ষমতা নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া।

৮নং আমল : সাকাল-সন্ধ্যায় একবার করে পড়া
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ ـ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি, চিন্তা ও ফিকির হতে, অসহায়তা ও অলসতা হতে, কৃপণতা ও কাপুরুষতা হতে। অনুরূপভাবে আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি ঋণের বোঝা-ভারে ভারাক্রান্ত হওয়া থেকে এবং আমার উপর লোকদের চাপসৃষ্টি করা থেকে।

ফায়দা :
হাদীস : হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযি.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন মসজিদে প্রবেশ করলেন,সেই সময় একজন আনসারী সাহাবী বসেছিলেন, যাকে আবু উমামা বলা হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবু উমামা কি হলো তোমার যে আমি তোমাকে মসজিদে নামায ছাড়া অন্য সময়ে বসে থাকতে দেখছি? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার পেরেশানী ও ঋণ চেপে বসেছে। তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কালাম শিক্ষা দেবনা, যখন তুমি তা বলবে, তখন আল্লাহ তায়ালা তোমার পেরেশানী দূর করে দিবেন। তিনি বললেন, বলুন ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যায় পড়বে-
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ ـ

আবু উমামা বলেন, যখন আমি তা পড়েছি তখন আল্লাহ তায়ালা আমার পেরেশানী দূর করে দিয়েছেন এবং আমার ঋণ পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। -আবু দাউদ-১৫৫০, আদ দাওয়াতুল কাবীর লিল বাইহাকী-১/১৪৪

৯নং আমল : সকাল-সন্ধ্যায় একবার করে পড়বে-
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّٓامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের ওছিলায় (কুরআন শরীফ) আশ্রয় কামনা করছি।

ফায়দা :
হাদীস : হযরত খাওলাহ বিনতে হাকীম সুলামিয়্যাহ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে, যখন কোনো ব্যক্তি কোনো স্থানে অবতরণ করে তখন সে যেন এ দুআ পড়ে,
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّٓامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
তাহলে সেই স্থান থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৭০৮

হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সকালে আমাকে এক বিচ্ছু দংশন করেছে।তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তুমি সন্ধ্যায় اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّٓامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ বলতে, তাহলে সে তোমার ক্ষতি করতে পারত না। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৭০৯

১০নং আমল : সকালে একবার পড়বে,
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه عَدَدَ خَلْقِه وَرِضٰى نَفْسِه وَزِنَةَ عَرْشِه وَمِدَادَ كَلِمَاتِه
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং প্রশংসা করছি সৃষ্টির সমপরিমাণ এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি খুশি না হও এবং আরশের ওজন ও কালিমাসমূহ লিখার কালি সমপরিমাণ।

ফায়দা :
হাদীস : হযরত জুওয়াইরিয়া (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ে ভোরবেলা তার কাছ থেকে বের হয়ে গেলেন। অতঃপর উক্ত নামায পড়ার স্থানেই তিনি সূর্য উদিত হওয়ার পর ফিরে আসলেন, যে অবস্থায় সে বসেই আছে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি সেই অবস্থায় আছ যেই অবস্থায় আমি তোমার কাছ থেকে পৃথক হয়েছি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর এমন চারটি কালিমা তিনবার বলছি তা তার থেকে বেশি ওজনদার, যা তুমি এতক্ষণ পর্যন্ত পড়েছ। তা হলো,
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه عَدَدَ خَلْقِه وَرِضٰى نَفْسِه وَزِنَةَ عَرْشِه وَمِدَادَ كَلِمَاتِه
-সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৭২৬
১১নং আমল : সকাল-সন্ধ্যায় একশবার পড়বে, سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه
অর্থ : আমি আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার প্রশংসার সাথে।

ফায়দা :
হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দিনে একশবার سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه বলবে, তার গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেওয়া হবে, যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৯১

হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه একশবার বলবে, কেয়মতের দিন কেউ তার থেকে উত্তম কোনো কিছু নিয়ে উপস্থিত হবে না, যা সে নিয়ে উপস্থিত হবে। তবে ঐ ব্যক্তি যে তার ন্যায় উক্ত দুআটি তার সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি বলবে। -সহীহ মুসলিম-২৬৯২

দুনিয়া-আখেরাতের চিন্তা দূর করার জন্য যথেষ্ট।
حَسْبِىَ اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاهُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
অর্থ : আমার জন্য আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, তাঁরই উপর আমি ভরসা করলাম, তিনিই মহান আরশের মালিক।

ফজিলত :
হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সাতবার এই দু’আ পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার দুনিয়া আখেরাতের সমুদয় চিন্তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন। -আমালুল ইয়াউমি ওয়াল লায়লী, ইবনুস সুন্নি-৭১

Exit mobile version